হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফজিলত
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চান হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে অর্থাৎ উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টি করেছেন।” (সুবহানাল্লাহ!) (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
এ প্রসঙ্গে হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- হে হযরত আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম! আপনাদের মর্যাদা-বুযুর্গী সম্মান কতই-না ঊর্ধ্বে! কতই-না উত্তম! যতক্ষণ পর্যন্ত আপনাদের উপর পবিত্র দুরূদ শরীফ পড়া না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত কারো নামাযও কবুল হয় না। সুবহানাল্লাহ!
ইমামুস সাদিস সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেন- যদি হযরত আহলু বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করার কারণে মানুষ আমাকে রাফিজী বলে, তবে আসমান-যমীন সাক্ষী থাকুক যে, আমি রফিজী। (হিলইয়াতুল আউলিয়া)
এ মর্মে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে খাওয়া পরার যে নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন সেজন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য। আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
কাজেই, বিশ্ববাসীর জন্য নিরাপত্তা দানকারী, নাজাত দানকারী, ধ্বংস থেকে রক্ষাকারী, পবিত্র ঈমান ও আমল হিফাযতকারী হযরত আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করলে, উনাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয় যথা- পবিত্র বিলাদত শরীফ, পবিত্র আক্বীকা শরীফ, পবিত্র নিকাহ শরীফ ইত্যাদি সবকিছু যথাযথ শান-মান, জওক-শওক-এর সাথে পালন করলে ও সর্বোচ্চ আর্থিক খিদমত করলে তথা চরম খুশি প্রকাশ করলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক পাওয়া যাবে।