সুন্নত.ইনফো ×
    মিল্কভিটা টক দই (৫০০ গ্রাম)
 

মিল্কভিটা টক দই (৫০০ গ্রাম)

ট্যাগ সমূহ: সুন্নতী খাবার

  • ৳ ৯০


স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দিয়ে দিন শুরু করতে টক দইয়ের বিকল্প নেই। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দই দিন শুরু করার জন্য খুব ভালো। দুগ্ধজাত এই খাবারটি বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। ফলের সাথে খাওয়া যায়, আবার স্মুদি তৈরি করেও এটি খাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে নাশতায় দই খেলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।  যেমন-

১. দই হল পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, বি ২, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই পুষ্টিগুলি সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে।

২. প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই দিয়ে দিন শুরু করলে হজম প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য রাখতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করতে পারে৷ যারা পেট ফোলা বা ডায়রিয়ার সমস্যায় ভুগছেন তারা সকালে দই খেতে পারেন।

৩. যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাদের জন্য টক দই একটি দুর্দান্ত বিকল্প। এতে উপস্থিত উচ্চ প্রোটিন উপাদান দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা অনুভূত হতে সাহায্য করে। যার ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। এভাবে দই ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

৪. টক দই রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। সেই সঙ্গে অন্ত্র সুরক্ষিত রাখে। দইয়ে থাকা বিভিন্ন খনিজ যেমন ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়ামের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

৫. মজবুত হাড় গঠনে টক দই খুবই উপকারী। এক কাপ দইয়ে ২৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ দই খেলে তা হাড় মজবুত রাখতে ভূমিকা রাখে। এটি শুধু হাড়কে মজবুত করে না, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতেও সাহায্য করে।


মিল্কভিটা টক দই কেন সেরা

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দুগ্ধ উৎপাদনকারী ফার্ম থেকে খাঁটি তরল দুধ সংগ্রহ করে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্কভিটা) । সেই তরল দুধ থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে টকদই উৎপাদন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে এটাই প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা সম্পূর্ণ দেশীয় গরুর তরল দুধ থেকে টকদই উৎপাদন করে আসছে। তবে দেশের মোট চাহিদার তুলনায় উৎপাদন হার খুবই কম হওয়ায় সচরাচর সবজায়গায় মিল্কভিটা গুড়াদুধ পাওয়া যায় না। আমাদের পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে মানসম্মত টকদই তৈরী করছে মিল্কভিটা। 


মিল্কভিটা প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:

1946 সালে, প্রয়াত এম. মুখলেসুর রহমান বাংলাদেশে ডেইরির পথিকৃৎ দৈনিক 2,000 লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ডেইরি প্ল্যান্ট, পাবনার লাহিড়ীমোহনপুরে (বর্তমানে সিরাজগং) কলকাতা (ভারত) বাজারে দুগ্ধজাত দ্রব্য পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশভাগের পর, ইস্টার্ন মিল্ক প্রোডাক্টস লিমিটেড, একটি প্রাইভেট কোম্পানি 1952 সালে আসল মালিকের কাছ থেকে এই ডেইরিটি ক্রয় করে। 1965 সালে, লাহিড়ীমোহনপুরের প্ল্যান্টের উপর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ইস্টার্ন মিল্ক প্রোডিউসারস কো-অপারেটিভ ইউনিয়ন লিমিটেড (EMPCUL) নামে প্রথম দুধ উৎপাদনকারী সমবায় গঠিত হয়েছিল, যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক দারিদ্র্য বিমোচন এবং দেশে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ (1973-1978) গ্রহণ করা হয়েছে। আরো পড়ুন


আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র সরাসরি কারখানা থেকে মিল্কভিটা টকদই সংগ্রহ করে থাকে। তবে সবসময় মিল্কভিটা টকদই চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পাওয়া যায়না. তাই এই পন্যটি বেশিরভাগ সময়ে দুষ্প্রাপ্য হয়ে ওঠে। 

 

আপনার মূল্যায়ন লিখুন

Note: HTML is not translated!
    খারাপ           ভালো