মৌমাছি কিভাবে মধু তৈরী করে জানেন কি?
মৌমাছি কিভাবে মধু তৈরী করে?
কোন মানুষের ব্যাখ্যা দিবোনা সরাসরি পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিয়েছেন মধুর রহস্য।
পবিত্র সূরা নাহল শরীফে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-
“আপনার মহান রব তায়ালা তিনি মৌমাছিকে আদেশ দিলেন পর্বতগাত্রে, বৃক্ষ ও উঁচু চালে মৌচাক নির্মাণ করো। এরপর সর্বপ্রকার ফুল-ফল হতে ভক্ষণ কর এবং মহান রব তায়ালা উনার উন্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট হতে বিভিন্ন রঙের পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্য রয়েছে রোগের শিফা। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।” (পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৮-৬৯) সুবহানাল্লাহ!
এরপর আসুন জেনে নেই মধু এতো মিষ্টি হয় কেন?
মৌমাছি তো অনেক বিষাক্ত ফুলের মধুও ভক্ষণ করে, এছাড়া ফুলের রস পানসে হয় তাহলে মধু মিষ্টি কিভাবে হয়?
এই প্রশ্নটি মৌমাছিকে করেছিলেন আমাদের যিনি মহাসম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।
মৌমাছি প্রতি উত্তরে কি বললো জানেন?
মাওলানা হযরত জালালুদ্দীন রুমী রহমাতুল্লাহি তা’আলা আলায়হি উনার ‘মসনভী শরীফে’ লিখেন-
“মৌমাছি আদবের সহিত বললো, হে আল্লাহর প্রিয় বন্ধু (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমরা বাগানে গিয়ে সব ধরনের ফুলের রস সংগ্রহ করি। তারপর আমরা আমাদের মুখে রস নিয়ে মৌচাকে নিয়ে আসি। আর সেখানে নির্গত করি। সেটাই মধু হয়। "
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, “ফুলের রস পানসে; মধু মিষ্টি কেন?
মৌমাছির জবাব,
گفت چوں خوانیم بر احمد درود می شود شریں و تلخی را ربود (গুফত চুঁ খানীমে বর আহমদ দরূদ, মী শাওয়াদ শীরী ওয়া তালখা রারে বূদ)
“আমাকে আল্লাহ তায়ালা কুদরতীভাবে শিক্ষা দিয়েছেন যে, বাগান থেকে ফুলের রস নিয়ে বাসায় (মৌচাকে) ফেরার সময় যেন ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনার দরুদ শরীফ পাঠ করি। আর ঐ মহাসম্মানিত-মহাপবিত্র দরুদ শরীফ উনার বরকতেই মধু মিষ্টি হয় এবং এ মধু সকল রোগের শেফা হয়।” (সুবহানাল্লাহ!)