সুন্নত.ইনফো ×
    খালাস খেজুর (১ কেজি)
 

খালাস খেজুর (১ কেজি)

ট্যাগ সমূহ: খাল্লাস খেজুর-প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ১ কেজি

  • ৳ ৩৬০


খেজুর একটি পাম জাতীয় ফল। যা মরুভূমি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। বিশেষভাবে পবিত্র মদীনা শরীফ খেজুরের জন্য বিখ্যাত।

عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَالِثَة الصّـِدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ‏‏‏ بَيْتٌ لَا تَـمْرَ فِيهِ جِيَاعٌ أَهْلُهٗ

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ঘরে খেজুর নেই, সেই ঘরে যেন কোন খাবারই নেই।” (আবূ দাঊদ শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামাহ্: বাবু ফিত তামরী: হাদীছ শরীফ নং ৩৮৩১)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ‏‏‏ يُفْطِرُ قَبْلَ اَنْ يُصَلِّيَ عَلَى رُطَبَاتٍ فَإِنْ لَـمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَتُمَيْرَاتٍ فَإِنْ لَـمْ تَكُنْ تُـمَيْرَاتٌ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَّاءٍ‏.‏ 

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নামায আদায়ের আগে কিছু তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার মুবারক করতেন। যদি তাজা খেজুর উপস্থিত না থাকতো, শুকনা খেজুর দিয়ে ইফতার মুবারক করতেন। যদি শুকনা খেজুরও উপস্থিত না থাকতো, কয়েক চুমুক পানি পান করে নিতেন।” (তিরমিযী শরীফ: কিতাবুছ সওম আন রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: বাবু মাজাআ মা ইয়ুসতাহাব্বু আলাইহি ইফতারু: হাদীছ শরীফ নং ৬৯৬)


খেজুরের অসংখ্য উপকারিতা:

কিছু উপকারিতা এখানে তুলে ধরা হলো-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মাকেও খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

ক্যানসার প্রতিরোধ: খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ। এক গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর যাঁরা নিয়মিত খেজুর খান, তাঁদের বেলায় ক্যানসারের ঝুঁকিটাও অনেক কম থাকে।

মুটিয়ে যাওয়া রোধে: মাত্র কয়েকটি খেজুর খাওয়ার ফলে শরীরের এমন পুষ্টি যোগায় যা ক্ষুধার তীব্রতা কমিয়ে দেয় এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। এই কয়েকটি খেজুরই কিন্তু শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে।

হাড় গঠনে: ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে।

দুর্বল হৃদপিণ্ড: খেজুর হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই যাদের হৃদপিণ্ড দুর্বল, খেজুর হতে পারে তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ।

অন্ত্রের গোলযোগ: অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর অনেক সহায়ক এবং খেজুর অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে: খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর সহায়ক। তাই চোখের সমস্যায় ভোগা রোগীরা খেজুর খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য: খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

সংক্রমণ: যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এ ছাড়া গলা ব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি এবং ঠান্ডায় খেজুর উপকারী।

বিষক্রিয়া রোধে: খেজুর অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে।

শিশুদের রোগবালাই প্রতিরোধে: শিশুদের জন্যও খেজুর খুব উপকারী। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও প্রতিরোধ করে। 

মায়ের বুকের দুধ: খেজুর বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য সমৃদ্ধ এক খাবার। এই খেজুর মায়ের দুধের পুষ্টিগুণ আরও বাড়িয়ে দেয় এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

সন্তান জন্মদানকালে সহায়ক: অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে। এবং প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়। 

এছাড়াও খেজুরে রয়েছে আরো কিছু্ উপকারিত-
১. খেজুরে খাদ্য শক্তি থাকায় শারীরিক দূর্বলতা দূর হয়।

২. স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে।

৩. পেটের ক্যান্‌সার প্রতিরোধ করে।

৪. খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ হয়।

৭. রক্ত উৎপাদনকারী।

৮. হজম শক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক।

৯. রুচি বাড়ায়।

১০. ত্বক ভালো রাখে।

১১. আঁশ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্যকারী।

১২. পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী।

১৩. ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে।

১৪. গলা ব্যথা, সর্দি ও যেকোন জ্বরে খেজুর খুবই উপকারী।

১৫. খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে।


তথ্যসূত্র: মহাসম্মানিত সুন্নতী খাদ্যসমূহ, প্রকাশনা: গবেষণা কেন্দ্র: মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ

আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র প্রতি বছরই জাজিরাতুল আরব হতে বিভিন্ন প্রকার তাজা খেজুর আমদানি করে। 

 

আপনার মূল্যায়ন লিখুন

Note: HTML is not translated!
    খারাপ           ভালো