সুন্নত.ইনফো ×
    কালোজিরা ডিব্বা ৫০ গ্রাম
 

কালোজিরা ডিব্বা ৫০ গ্রাম

ট্যাগ সমূহ: কালোজিরা ডিব্বা ৫০ গ্রাম

  • ৳ ৪০


কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের মহাওষুধ

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে কালোজিরার অনেক উপকারিতা বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا مِنْ دَاءٍ اِلَّا فِي الْـحَبَّةِ السَّوْدَاءِ مِنْهُ شِفَاءٌ اِلَّا السَّامَ‏

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ্‌ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেননূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেনমৃত্যু ছাড়া এমন কোন রোগ নেই কালোজিরায় যার আরোগ্যতা নেই।” (মুসলিম শরীফ: কিতাবুস সালাম: হাদীছ শরীফ নং ৫৬৬১)

অন্য বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেননূরে মুজাসসামহাবীবুল্লাহহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেনযখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।” (মু’জামুল আওসাত লিত ত্ববারানী)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত কাতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত আছেপ্রতিদিন ২১টি কালোজিরার ১টি পুটলি তৈরী করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাসারন্দ্রে (নাসিকানাক) ব্যবহার করবে- প্রথমবার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। তৃতীয়বার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।”

কালোজিরার গুণাগুণ:

• হজমের সমস্যায় এক-দুই চা-চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে প্রতিদিন দু-তিনবার খেলে এক মাসের মধ্যে হজম শক্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি পেট ফাঁপাভাবও দূর হবে।

• জ্বরব্যাথাসর্দি-কাশিতে এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন একবার সেবন করুন। কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন যদি সর্দি বসে যায়। একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে শুকতে থাকুনশ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে যাবে।

• মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাত্রে শোবার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে গরুর দুধের সঙ্গে খেতে হবে। ইনশাআল্লাহ্ মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া কালোজিরা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেলেও এ সমস্যা সমাধান হতে পারে।

• নিয়মিত কালোজিরা খেলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি প্রাণশক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে।

• কালোজিরা লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আলফা টক্সিন নামক বিষ ধ্বংস করে। তাই যারা লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি মহৌষধ।

• ডায়বেটিকস্ রোগীরা এক চিমটি পরিমাণ কালো জিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে; একসময় ডায়বেটিকস্ কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।

• কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি উৎকৃষ্ট ঔষধ।

• শুলবেদনা ও প্রসূতি রোগে কালোজিরা অত্যধিক উপকারী। ব্রণের জন্যও এটি উত্তম ঔষধ।

• মূত্রথলির পাথর ও জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভ করতে কালোজিরা খান নিয়মিত যতবার পারেন।

• অধিক ঋতুস্রাবমাত্রাতিরিক্ত ছোট ইস্তিঞ্জা প্রতিরোধ করতে কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম। এটি কৃমিনাশক।

• কালোজিরা রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে।

• নিয়মিত কালোজিরা সেবন শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।

• ভাততরকারী ইত্যাদির সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খান, রোগ-শোক থেকে দূরে থাকুন।

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কালোজিরার আরো কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:

কালোজিরাকে সব রোগের ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অন্যান্য সব ভেষজের মতো কালোজিরা নিয়েও গবেষণা কম হয়নি। ১৯৬০ সালে মিসরের গবেষকরা নিশ্চিত হন যেকালো জিরায় বিদ্যমান নাইজেল-এর কারণে হাঁপানী উপশম হয়। জার্মানী গবেষকরা বলেছেকালো জিরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইকোটিক প্রভাব রয়েছে। এটি বোনম্যারো ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন তৈরী বাড়িয়ে দেয়।

আমেরিকার গবেষকরা কালোজিরার টিউমারবিরোধী প্রভাব সম্পর্কে মতামত দেয়। শরীরে ক্যান্সার উত্পাদনকারী ফ্রি-রেডিক্যাল অপসারিত করতে পারে কালোজিরা। মোটকথাকালোজিরা সব ধরণের রোগের বিরুদ্ধে তুলনাহীন। কালোজিরা পিষে তেল বের করে নিলে কার্যকারীতা অনেকগুণে বৃদ্ধি পায়। আসুন জেনে নিই কালোজিরার এমন কিছু ব্যবহারযেগুলো একেবারেই অপ্রচলিত।

১. স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে: কালোজিরা মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে আধা চা চামচ কাঁচা কালোজিরা অথবা ১ চা চামচ কালোজিরার তেল খাওয়া যায়।

২. ব্যাথা কমাতে: যেকোনো ধরণের ব্যাথা কমাতে কালোজিরার জুড়ি নেই। কালোজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যাথার জায়গায় মালিশ করলে ব্যাথা সেরে যায়। বিশেষ করে বাতের ব্যাথায় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।

৩. ফোঁড়া সারাতে: ব্যাথাযুক্ত ফোঁড়া সারাতে কালোজিরা সাহায্য করে। তিলের তেলের সাথে কালোজিরা বাটা বা কালোজিরার তেল মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালে ব্যাথা উপশম হয় ও ফোঁড়া সেরে যায়।

৪. মেদ কমাতে: চায়ের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে পান করলে তা বাড়তি মেদ ঝরে যেতে সাহায্য করে। চুলার উপরে একটি পাত্রে পানি নিয়ে, পানি ফুটলে চা পাতা ও সমপরিমাণ কালোজিরা পানিতে দিতে হবে। চায়ের রং হয়ে এলে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সাধারণ চায়ের মতোই পান করা যায়।

৫. দাঁতের ব্যাথায়: দাঁত ব্যাথা হলেমাড়ী ফুলে গেলে বা রক্ত পড়লে কালোজিরা তা উপশমে সহায়ক। পানিতে কালোজিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে, পানির তাপমাত্রা কমে স্বাভাবিক গরম অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলি করতে হয়। এতে দাঁত ব্যাথা কমে যায়মাড়ীর ফোলা বা রক্ত পড়া বন্ধ হয়। এছাড়া জিহ্বাতালু ও মুখের জীবাণু ধ্বংস হয়।

৬. মাথা ব্যাথায়: ঠাণ্ডাজনিত মাথাব্যাথা দূর করতে একটি সুতি কাপড়ের টুকরায় খানিকটা কালোজিরা নিয়ে পুঁটুলি তৈরী করে নাকের কাছে নিয়ে শ্বাস টানতে থাকলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাথা সেরে যায়।

কালোজিরার তেল: কালোজিরা পিষে তেল বের করে নিলে কার্যকারীতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। যেমন-

* কপালের দুই পাশে এবং কানের পাশে দিনে তিন-চারবার কালোজিরার তেল মালিশ করুন মাথাব্যাথা ভালো হয়ে যায়।

* চুল পড়া রোধে কালোজিরার তেল চুলের গোড়ায় নিয়মিতভাবে মালিশ করতে হয়। ২ টেবিল চামচ যয়তুন তেল ও ১ চা চামচ কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করে, ১ ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলতে হয়।

* উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরার তেল ব্যবহার করা হয়। শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানী দূর করে। হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে।

* পক্ষাঘাত (প্যারালাইসিস) ও কম্পন রোগে কালোজিরার তৈল মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়।

* জ্বরব্যাথাসর্দি-কাশিতে তাড়াতাড়ি ভালো ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করা যায়।

* সকালে খালি পেটে ১২/১৩ ফোঁটা কালোজিরার তেল ও ১৫/১৬ ফোঁটা মধু খেলে ডায়াবেটিসের উপকার হয়।

* ১০/১২ ফোঁটা কালোজিরার তেল গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে বাত রোগের উপকার হয়।

আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র নিজস্ব জমিতে কালোজিরা উৎপাদন করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন চাষীদের থেকেও উন্নত জাতের কালোজিরা সংগ্রহ করে তা নিজস্ব তত্বাবধায়নে ভাঙ্গিয়ে তেল প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। তাই উন্নতমানের ও নির্ভেজাল কালোজিরা তেলের জন্য এখানেই অর্ডার করুন।

 

আপনার মূল্যায়ন লিখুন

Note: HTML is not translated!
    খারাপ           ভালো