সুন্নত.ইনফো ×
    চন্দন কাঠ (পিছ)
 

চন্দন কাঠ (পিছ)

  • ৳ ৩০০


চন্দন কাঠের উপকারিতা: 

১. সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে বাঁচাতে চন্দনের তেল খুবই উপকারী।

২. ব্রণ বা প্রদাহ জনিত বৈশিষ্ট্য বা সূর্যের তাপে সৃষ্ট কোন ধরণের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। চন্দন কাঠের তেল পোকামাকড়ের কামড় বা অন্য কোনো ত্বকের ক্ষতি থেকে বাঁচতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৩.ত্বকের অ্যালার্জি কমায়: চন্দন কাঠ স্কিন প্রোটিনের মাত্রা বাড়ায় যার ফলে ত্বকের যেকোন ব্রেকআউট, অ্যালার্জি বা জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা করে। এটি আপনার ত্বকের নরম টিস্যুকে সংকোচনের সৃষ্টি করে এবং আপনার ত্বকের ছিদ্রকে শক্ত করে তোলে। এ কারণেই অনেকেই ফেসপ্যাকগুলোতে বা টোনারগুলোতে চন্দন কাঠ ব্যবহার করেন।

৪. চন্দন কাঠ স্কিন প্রোটিনের মাত্রা বাড়ায়, ত্বকের সমস্যা থেকে আরাম দেয়।

৫. অ্যান্টি-সেপটিক হিসাবে ব্যবহৃত হয়:

চন্দন কাঠে আছে অ্যান্টি-সেপটিক উপাদান যা ব্রণ দাগ ইত্যাদি কমায়। ধুলো এবং ময়লা থেকে আপনার ত্বকে যে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, মুখে দুধের সাথে চন্দনগুঁড়ো মিশিয়ে প্রয়োগ সত্যিই উপকার পেতে পারেন।


চন্দন কাঠ কত প্রকার?

চন্দন সাধারণত তিন প্রকারের- শ্বেতচন্দন, রক্ত বা লাল চন্দন, পিত চন্দন। তবে পিত চন্দনের কথা শোনা গেলেও এর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। শ্বেত এবং রক্ত চন্দন দুটিই ঔষধ ও প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহার হয়। এর মধ্যে শ্বেতচন্দন এর মূল্য সবচেয়ে বেশী। একটি চন্দন গাছ নামমাত্র পরিচর্যায় ১০-১৫ বছরের ব্যবধানে পেনশনের মত আর্থিক সুবিধা দিতে পারে।


শ্বেত চন্দন ও চন্দন কাঠের উপকারিতা

শ্বেতচন্দন গাছ থেকে তেল, প্রসাধনী,ঔষধ ও দামী আতর, ধুপ, সাবান, পাউডার, আতর, ক্রিম, দাত মাজার পেষ্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়তৈরি করা হয়। অনেক হোমেওপ্যাথি ঔষধ আছে যাতে চন্দনের ব্যবহার হয়। নারীদের অনেক জটিল গোপন রোগ শ্বেত চন্দন প্রয়োগে ভালো হয়। এছাড়াও আরো অনেক অনেক উপকারিতা রয়েছে শ্বেত চন্দনের। ত্বকের জন্যও অনেক ভালো এটি।


আসল চন্দন কাঠ চেনার উপায়

বাজারে আসল শ্বেত চন্দন পাওয়া কঠিন। বেশির ভাগ সময়ি আমরা যে চন্দনকাঠ কিনি তা নকল। ভেজাল চন্দন কাঠে একটি নরম স্তর দেওয়া থাকে। পেয়ারা কাঠও অনেক সময় চন্দনের সুগন্ধি মেশানো থাকে। কিছুদিন পরই কোনো সুঘ্রাণ থাকেনা। তাই চন্দন কাঠ কেনার আগে ছুরি বা ব্লেড দিয়ে চন্দন কাঠের গায়ে আঁচড় দিয়ে দেখুন। চন্দন কাঠ আসল হলে এটা হাতে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার হাত মিষ্টি সুগন্ধ হয়ে যাবে। আসল চন্দন কাঠ শুধু আপনার হাতেই নয়, আপনার স্থানের চারপাশ তখন সুগন্ধিতে ভরিয়ে দেবে। প্রকৃত চন্দন কাঠের গন্ধ কয়েক দশক ধরে স্থায়ী হয়। এই কাঠ সাধারণত ভারী, হলুদ, এবং হালকা খসখসে হয়।


 

আপনার মূল্যায়ন লিখুন

Note: HTML is not translated!
    খারাপ           ভালো