সুন্নত.ইনফো ×
    দুনিয়াবী অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা হারাম ও কুফরী হওয়ার অকাট্ট ফতওয়া।
 

দুনিয়াবী অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা হারাম ও কুফরী হওয়ার অকাট্ট ফতওয়া।

  • ৳ ১০০


“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার, মেট্টোরেল, কল-কারখানা নির্মান এবং সৌন্দর্যবর্ধণসহ কথিত জনকল্যাণের নামে দুনিয়াবী কোনো অজুহাতে ভাঙ্গা ও স্থানান্তরিত করা কাট্টা হারাম এবং কুফরী হওয়ার অকাট্ট ফতওয়া“

কিতাবে সুমহান ক্বওল শরীফ ও মুকাদ্দিমাতুল কিতাব বর্ণনা করার পর ধারাবাহিক ২১টি সুওয়ালের নির্ভরযোগ্য এবং অকাট্ট দালিলিক জাওয়াব দেয়া হয়েছে। সুয়ালগুলো নিম্নরুপ:

সুওয়াল-১: মসজিদ হওয়ার শর্ত কি?

সুওয়াল-২: খাস জায়গায় লিজ নিয়ে ৪০-৫০ বছর আগে জনগণের সুবিধার্থে মসজিদ বানানো হয়েছে। এখন সেই মসজিদ কি সরকার ভেঙ্গে ফেলতে পারবে?

সুওয়াল-৩: মসজিদের মালিক কে? মসজিদ ভাঙতে হলে কার অনুমতি লাগবে? কার অনুমতি শরীয়তে গ্রহণযোগ্য?

সুওয়াল-৪: মসজিদ কমিটি, মুতাওয়াল্লী, মসজিদের খতীব ছাহেব ও মসজিদের ইমাম ছাহেব কি মসজিদ ভাঙ্গার অনুমতি দিতে পারে?

সুওয়াল-৫: অনেকে দাবী করে, জনকল্যাণ বা বৃহত্তর কল্যাণের জন্য মসজিদ স্থানান্তর করতে সমস্যা নেই। তাদের এই দাবী কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

সুওয়াল-৬: অনেকে হাদীছ শরীফ উনার বরাত দিয়ে বলে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত যমীনকে সিজদার স্থান বানিয়ে দিয়েছেন। তবে কি সারা পৃথিবীর কিছুই ভাঙ্গা যাবে না?

সুওয়াল-৭: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ উনার সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধন, প্রশস্তকরণ, পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ বা মসজিদ সংশ্লিষ্ট যে কোন ধরণের উন্নয়নের জন্য ভাঙ্গা, আর রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, নদী রক্ষণাবক্ষেণ বা সরকারী/বেসরকারী যে কোনো প্রয়োজনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ ভাঙ্গার হুকুম কি একই রকম? দলীল ভিত্তিক জাওয়াব দিয়ে বাধিত করবেন।

সুওয়াল-৮: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ উনার জমি রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল নির্মাণ, নদী রক্ষণাবেক্ষণ বা যে কোনো সরকারী বেসরকারী প্রয়োজনে বিক্রি করা জায়িয আছে কি? দলীল ভিত্তিক জাওয়াব জানতে চাই।

সুওয়াল-৯: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদের জমি রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, নদী রক্ষণাবক্ষেণ বা সরকারী-বেসরকারী যে কোনো প্রয়োজনে স্থানান্তর করা জায়িয আছে কি?

সুওয়াল-১০: একটি মসজিদকে রাস্তা বানিয়ে অন্যত্র যদি একাধিক বহুতল মসজিদ বানিয়ে দেয়া হয়, তবে সেটা কি শরীয়ত সম্মত হবে?

সুওয়াল-১১: নদী/রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য মসজিদ স্থানান্তর করার দ্বারা কি ছাবিত হয় না যে, মসজিদ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার ঘর কদাকার এবং সেটা কোন কিছুর সৌন্দর্যহানীর কারণ?নাঊযুবিল্লাহ!

সুওয়াল-১২: নদী রক্ষার্থে মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

সুওয়াল-১৩: মসজিদের জায়গায় দোকান-পাট ও ঘর-বাড়ি তৈরি করে ভাড়া দেয়ার ব্যাপারে সম্মানিত শরীয়তের হুকুম কি?

সুওয়াল-১৪: নদী ভাঙ্গনের কারণে অনেক মসজিদের স্থান নদীর মাঝখানে চলে গেছে। এতে এলাকাবাসী নতুন জেগে ওঠা চরে স্থান নির্দিষ্ট করে ঐ মসজিদের বদল হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা কতটুকু শরীয়তসম্মত?

সুওয়াল-১৫: অনেক এলাকায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক স্থানান্তরের জন্য বছরের পর বছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে সম্মানিত ছলাত আদায় করা বন্ধ আছে, সম্মানিত ও পবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে এর ফায়সালা কি?

সুওয়াল-১৬: রাস্তা সোজা করতে যেয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙতে হবে নাকি রাস্তা বাঁকা করে নিতে হবে?

সুওয়াল-১৭: সরকারী কাজে যদি অন্য উপায় না থাকে, তবে বিকল্প মসজিদ বানিয়ে দেয়ার শর্তে মসজিদ ভাঙ্গা যায়। এই কথা কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

সুওয়াল-১৮: একাধিক ছোট ছোট আকারের মসজিদ উনার জমি সরকারী/বেসরকারী কাজে ব্যবহার করে তার বদলে অন্যত্র একটি বড় মসজিদ নির্মাণ করল, সেটা কি বৈধ হবে?

সুওয়াল-১৯: মসজিদ স্থানান্তর করার স্বপক্ষে কেউ কেউ বলে থাকে যে, আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে কূফার দায়িত্বশীল ছিলেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু। একদা মসজিদ হতে বাইতুল মাল চুরি হয়ে গেলে সে ঘটনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে জানানো হয়। তিনি মসজিদ স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন। ফলে মসজিদ স্থানান্তরিত করা হয় এবং পূর্বের স্থান খেজুর বিক্রির বাজারে পরিণত হয়। আর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, তোমাদের উপর অপরিহার্য হলো, আমার সুন্নত ও আমার খুলাফায়ে রাশিদীন উনাদের সুন্নতকে আকড়ে ধরা। অতএব, একান্ত প্রয়োজনে মসজিদ স্থানান্তর করা যায়। তারা দলীল হিসেবে যে কিতাব সমূহের নাম উল্লেখ করেছে তা হচ্ছে ১. ফতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়াহ ৩১ খ-, ২১৭ পৃষ্ঠা, ইমাম তবারানী আল মু’জামুল কবীর, হা/৮৮৫৪, ২. আবূ দাউদ হা/৪৬০৭, তিরমিযী হা/২৬৭৬, মিশকাত হা/১৬৫।

তাদের উক্ত বক্তব্য ও দলীল কতটুকু ঠিক?

জাওয়াব দিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার আরজি জানাচ্ছি।

সুওয়াল-২০: বিভিন্ন অজুহাতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙলে এর গুনাহের দায় কি এলাকাবাসী ও মুছুল্লীদের উপর বর্তাবে?

সুওয়াল-২১: পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গার অপচেষ্টা করা হলে বা পবিত্র মসজিদের ইজ্জত-হুরমত বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করা হলে এলাকাবাসী বা মুছল্লীদের দায়িত্ব-কর্তব্য কি?

মহামূল্যবান এই কিতাব আজই সংগ্রহ করুন। অন্যকে হাদিয়া করুন। মসজিদ ভাঙ্গার বিরুদ্ধে জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি করুন।


আপনার কপির জন্য যোগাযোগ করুন-

মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ (বিক্রয়কেন্দ্র)

৫/১, আউটার সার্কুলার রোড, রজারবাগ শরীফ, ঢাকা-১২১৭

ফোন (পিএবিএক্স): ৪৮৩১৪৮৪৮ (বর্ধিত ১৪১)

মোবাইল: ০১৭১০-৩২০৪১২, ০১৭১৭-২২৬৬৬৪

 

আপনার মূল্যায়ন লিখুন

Note: HTML is not translated!
    খারাপ           ভালো