আরবি শব্দ زَبِيْبٌ (যাবীবুন) বা কিসমিস হলো আঙ্গুর ফলের শুকনা রূপ। এক গবেষনায় জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম সুন্নতী খাবার কিসমিসে রয়েছে এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম। এটি রক্তে শর্করার মাত্রায় ঝামেলা তৈরি করে না। এটি খেলে শরীরের রক্ত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, পিত্ত ও বায়ুর সমস্যা দূর হয়। এটি হৃদপিণ্ডের জন্যও অনেক উপকারি।
সুন্নতী খাবার কিসমিসের উপকারিতা:
১. সুন্নতী খাবার কিসমিসে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ, যা তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে থাকে। তাই দুর্বলতার ক্ষেত্রে কিসমিস খুবই উপকারি।
২. সুন্নতী খাবার কিসমিসে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড, যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দিয়ে দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে।
৩. সুন্নতী খাবার কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস। ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে এবং বোরন হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
৪. সুন্নতী খাবার কিসমিসে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফেমেটরী উপাদান কাঁটা-ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার হাত থেকে রক্ষকরে।
৫. সুন্নতী খাবার কিসমিসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনলিক অ্যাসিড। যা ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
৬. সুন্নতী খাবার কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
৭. সুন্নতী খাবার কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান। যা অবসাদ ও শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
৮. সুন্নতী খাবার কিসমিসে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধী, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফলে এটা ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জ্বর নিরাময় করতে সাহায্য কারে।
৯. সুন্নতী খাবার কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন এ, এ-বিটা ক্যারোটিন এবং এ-ক্যারোটিনয়েড। যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।
১০. সুন্নতী খাবার কিসমিস শরীরে পটাশিয়াম বাড়িয়ে এবং সোডিয়াম কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
তাছাড়া, সুন্নতী খাবার কিসমিস খারাপ কোলোস্ট্রোরেল কমায়, অনিদ্রা দূর করে, এসিডিটি কমায়, ওজন বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের জন্য উপকারি।
সুন্নতী খাবার কিসমিস খাওয়ার নিয়ম: ১৫০ গ্রাম কিসমিস ভালো ধুয়ে ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। পরেরদিন সকালে কিসমিস ছেকে নিয়ে সেই পানি হালকা গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন। এর পরে আধ ঘন্টা আর অন্য কোনও খাবার খাওয়া চলবে না। সপ্তাহে কমপক্ষে চারদিন এই পানি খেলে এক মাসের মধ্যেই তফাৎটা অনুভব করবেন। অথবা প্রতিদিন ৬/৭ টা বা যতটা পারেন নিয়মিত খাবেন।