সুন্নত.ইনফো ×
    আস্ত ধনিয়া ১ কেজি
 

আস্ত ধনিয়া ১ কেজি

ট্যাগ সমূহ: আস্ত ধনিয়া ১ কেজি

  • ৳ ২২০


তরকারি, সালাদ, স্যুপ ইত্যাদি সব কিছুতেই ব্যবহার করা হয় ধনিয়া। এটি মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হলেও এর কিছু ঔষধি গুনাগুণও আছে। এটি পটাসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে ও ভিটামিন সি, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের উৎস বলেই অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার নিরাময় করতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নিই ধনে বীজের চমৎকার কিছু উপকারিতার বিষয়ে।


ধনিয়ার উপকারিতা

১। ত্বকের রোগে: বিভিন্ন ধরনের ত্বকের রোগ যেমন- এক্সিমা, চুলকানি, র‍্যাশ এবং ইনফ্লামেশন সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে ধনে বীজ। এছাড়াও মুখের আলসার ও ঘা সারাতেও সাহায্য করে ধনে বীজ। ধনে বীজ সিদ্ধ করা পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের আলসার কমতে সাহায্য করে।


ধনে বীজের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন, এর সাথে ১ চা চামচ মধু মেশান। এই মিশ্রণটি ত্বকের চুলকানির স্থানে লাগালে খুব দ্রুত চুলকানি কমে। ১০ মিনিট পরে স্থানটি ধুয়ে ফেলুন।


ধনে বীজে অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান আছে বলে এক্সিমা ও র‍্যাশের মত ত্বকের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। এছাড়াও ধনে বীজে লিনোলেইক এসিড থাকে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে বলে আরথ্রাইটিসের ইনফ্লামেশন কমাতে সাহায্য করে।


২। ব্রণ এর সমস্যায়: তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের এবং বয়ঃসন্ধিকালে ব্রণের সমস্যা বারবার হয়ে থাকে। ধনে বীজ ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমাতে সাহায্য করে। ধনে বীজ পেস্ট করে নিয়ে এর সাথে ১ চামচ মধু ও ১ চিমটি হলুদ মেশান। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা এর সাথে মুলতানি মাটি মেশাতে পারেন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে শুষ্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ধনে বীজের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুনাগুণের কারণেই এটি ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমাতে অনেক কার্যকরী।


৩। চুলের বৃদ্ধিতে: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, হেয়ার ফলিকল দুর্বল হওয়া, স্ট্রেস এবং অপর্যাপ্ত খাওয়ার ফলে চুল পড়ার সমস্যা হয়। ধনে বীজ চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আপনি চুলে যে তেল ব্যবহার করেন তার সাথে সামান্য পরিমাণ ধনে বীজের গুঁড়া মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন সপ্তাহে অন্তত দুইবার। ধনে বীজ চুলের গোঁড়াকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে এবং চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।


৪। হজমে: ধনে বীজ এবং ধনেপাতা স্বাস্থ্যকর হজমের জন্য উপকারী। একমুঠো ধনে বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন সারাদিন। পরদিন সকালে দ্রবণটি ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে পান করুন। এটি নিয়মিত পান করলে বদ হজমের সমস্যা দূর হয়। ধনে বীজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং ডায়াটারি ফাইবার থাকে। তাই এটি যকৃৎকে ভালোভাবে কাজ করার এবং মল নির্গমনের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ডাইজেস্টিভ এনজাইম উৎপাদনে সাহায্য করে বলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়।


এছাড়াও ধনে বীজ ঠান্ডা ও ফ্লু দূর করতে সাহায্য করে, অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, কনজাংটিভাইটিস নিরাময়ে সাহায্য করে ও অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।

 

আপনার মূল্যায়ন লিখুন

Note: HTML is not translated!
    খারাপ           ভালো