পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সুন্নতী খাবার কালোজিরার তেল ব্যবহারের অনেক উপকারীতা বর্ণিত রয়েছে। “হযরত আবূ হুরায়রাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মৃত্যু ছাড়া এমন কোন রোগ নেই কালোজিরায় যার আরোগ্যতা নেই।” (মুসলিম শরীফ: হাদীছ শরীফ নং ৫৬৬১)
আমাদের প্রাণ প্রিয় নবীজী উনার চকি মুবারক ছিল চার পায়া বিশিষ্ট এবং কাঠের তৈরী। এছাড়াও চারপায়া চকির ছাউনি মুবারক ছিল দড়ির তৈরী, যার ফলে কখনো কখনো উনার জিসিম (শরীর) মুবারকে দাগ পড়ে যেত।
খেজুর পছন্দ করেন না এরকম ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এর মূল কারন হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত মুবারক প্রিয় ফল এই খেজুর। খেজুর অনেক দেশেই চাষ হয়, কিন্তু মদীনা শরীফ, মক্কা শরীফ উনার খেজুরের স্বাদ বা বরকত অতুলনীয়।
আরবি শব্দ خَلٌ (খল) বা সিরকা হল এক ধরনের তরল পানীয়, যা খাদ্যের সাথে ব্যবহার করার শিক্ষা দিয়েছেন স্বয়ং যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রসূল শেষ নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। তাই সিরকা খাওয়া খাছ সুন্নত বলা হয়।
সাওয়ীক্ব- এককৌটা আসল পুষ্টি, শরীরের শক্তি আর মনের তুষ্টি। বাজারের কথিত “নিউট্রিশন ফুড” , “ফুড সাপ্লিমেন্ট” এবং “মল্টেড ড্রিংকস” যাই বলেন সব কিছু শুধু মাত্র তাদের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়েই ক্রেতাদেরকে ধোকা দিয়ে থাকে।
পবিত্র আশুরা শরীফ দিবসের উত্তম আমল হলো সুন্নতী আমল, সর্বশ্রেষ্ঠ খাবার সুন্নতী খাবার, সর্বোত্তম পোশাক সুন্নতী পোশাক পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ফযীলত সীমাহীন। কিন্তু কে না চায় এই সীমাহীন ফযীলত উনার পরিপূর্ণ ফায়দা হাছিল করতে? কে না চায় ফযীলত অর্জন করতে? কে চায় না যে সমস্ত নিয়ামত হাছিল হোক? সবাই চায়। সবাই ভালো জিনিস ও নিয়ামতরাজি চায়। কিন্তু কিভাবে সম্ভব?
গোসল করার পূর্বে শরীরে যয়তুনের তেল দেয়া সুন্নত। মাথায় তেল দেয়ার নিয়ম হলো- প্রথমে ডান ভ্রুতে তারপর বাম ভ্রুতে, তারপর ডান চোখের পাতায়, তারপর বাম চোখের পাতায়। অতপর মাথার ডানদিক হতে প্রয়োজনমতো তেল দেয়া। আর দাড়িতে তেল দেয়ার নিয়ম হলো- প্রথমে ডান ভ্রুতে তারপর বাম ভ্রুতে, তারপর নিম দাড়িতে। অতপর দাড়ির ডান দিক হতে তেল দিতে হবে। তেল দেয়ার সময় সর্বক্ষেত্রে ডান দিকের অংশ আগে শুরু করতে হবে।
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য সকালে নাবীয তৈরি করতেন। যখন রাত হতো তিনি তা পান করতেন। অতঃপর তিনি রাতে (পূনরায়) নাবীয তৈরি করতেন। যখন সকাল হতো তিনি তা পান করতেন। ‘উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি সকাল-সন্ধ্যায় নাবীয পাত্র ধুয়ে নিতাম। হযরত মুকাতিল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমার পিতা উনার খিদমতে প্রশ্ন রাখেন, দৈনিক দুইবার? তিনি জওওয়াব মুবারক দিয়ে বলেন, হ্যাঁ, দুইবার।” (আবূ দাঊদ শরীফ) তাহলে আজই তৈরি করে ফেলুন সুন্নতী নাবীয। পান করে কমেন্টে জানান কেমন লাগলো। ভালো লাগলে অবশ্যই পোষ্টটি শেয়ার করে দিন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনায় করছি।
“হযরত ত্বলহা ইবনে নাফি’ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত জাবির ইবনে ‘আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলতে শুনেছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার আমার হাত ধরে স্বীয় হুজরা শরীফ তাশরীফ মুবারক রাখলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে এক খণ্ড রুটি পেশ করা হলে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোন তরকারী কি নেই? উনারা বললেন, না। তবে অল্প কিছু সিরকা রয়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সিরকা তো উত্তম তরকারী। হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে এ পবিত্র হাদীছ শরীফ শুনার পর আমি সিরকা পছন্দ করতে থাকি। (মুসলিম শরীফ: ৫২৪৮)
এটার তাপ ওটার ঠান্ডাকে দমন করে। (আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ)
گفت چوں خوانیم بر احمد درود می شود شریں و تلخی را ربود (গুফত চুঁ খানীমে বর আহমদ দরূদ, মী শাওয়াদ শীরী ওয়া তালখা রারে বূদ)
ছারীদ (ثَرِيْدٌ) একটি সুন্নতী খাবার। গোশতের শুরুয়াতে ভেজানো টুকরো টুকরো রুটি দিয়ে তৈরি এক প্রকার বিশেষ খাদ্য।