পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ زِيَادٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ ، قَالَ : " أَكَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شِوَاءً فِي الْمَسْجِدِ " .
আবদুল্লাহ ইবনে হারিস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মসজিদে ভূনা গোশত খেয়েছি। (শামায়েলে তিরমিযী)
পবিত্র হাদীছ শরীফে অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে,
:الْفَصْلُ الثَّالِثُ
عَن المغيرةِ بن شعبةَ قَالَ: ضِفْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَأَمَرَ بِجَنْبٍ فَشُوِيَ ثُمَّ أَخَذَ الشَّفْرَةَ فَجَعَلَ يَحُزُّ لِي بِهَا مِنْهُ فَجَاءَ بِلَالٌ يُؤْذِنُهُ
بِالصَّلَاةِ فَأَلْقَى الشَّفْرَةَ فَقَالَ: «مَا لَهُ تَرِبَتْ يَدَاهُ؟» قَالَ: وَكَانَ شارِبُه وَفَاء فَقَالَ لي: «أُقْصُّه عَلَى سِوَاكٍ؟ أَوْ قُصَّهُ عَلَى سِوَاكٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
হযরত মুগীরাহ্ ইবনু শু‘বাহ্ (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সাথে (জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে) মেহমান হলাম। তিনি লোকটিকে বকরীর পাঁজরের গোশত তৈরি করতে বললেন, তা ভুনা করা হলো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছুরি নিয়ে ঐ স্থান হতে গোশত কেটে আমাদের দিতে লাগলেন। এমন সময় বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এসে তাঁকে সালাতের সংবাদ দিলেন। তিনি (বিরক্তির সাথে) ছুরিখানা ফেলে দিলেন এবং বললেনঃ তার কি হলো? তার দু’হাতে মাটি লাগুক। মুগীরাহ্ বলেনঃ তার গোঁফ বেশ লম্বা হয়ে গিয়েছিল, তখন তিনি আমাকে বললেনঃ আমি তোমার গোঁফ মিসওয়াকে রেখে কেটে দেব। অথবা বললেনঃ তা মিসওয়াকে রেখে কেটে নাও। (তিরমিযী) সহীহ : আবূ দাঊদ ১৮৮, শামায়িলে তিরমিযী ১৬৭, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১৭৪৩২, মুসনাদে আহমাদ ১৮২১২, শারহুস্ সুন্নাহ্ ২৮৪৮।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু ভুনা গোশত মুবারক খেয়েছেন, তাই এটা খাছ সুন্নত মুবারক।
গোশত / মাছ ইত্যাদি আগুনে জ্বলসে খাওয়াকে প্রচলিত ভাষায় আমরা জানি হলো ”গ্রীল” হিসেবে। আর এ পদ্ধতিকে আরবীতে বলা হয় মিশওয়াতুন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার লক্ষ্যে আমরা মিশওয়াতুন বলেই সম্বোধন করবো।
সবার কাছে সেই মহাসম্মানিত পবিত্র সুন্নত মুবারক পৌছে দিতে ‘আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্র’ নিয়ে এসেছে মিশওয়াতুন চুলা। এর মাধ্যমে যে কেউ সহজে ভুনা গোশত তৈরী করে পবিত্র সুন্নত মুবারক পালন করার সুমহান সুযোগ পাবেন।
আমাদের নিকট দুই ধরনের মিশওয়াতুন আছে:
১. প্রথম মিশওয়াতুন দিয়ে কয়লার সাহায্যে গোশত ভূনা করা যাবে।
২. দ্বিতীয়টি মিশওয়াতুন দিয়ে বিদ্যুতের সাহায্যে গোশত ভূনা যাবে।
পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনের খেয়ালে আজই আপনার মিশওয়াতুন সংগ্রহ করুন।