প্রশ্ন ও উত্তর
সুন্নতী কোর্তা
কামিছ বা কোর্তা সম্পর্কে আবু দাউদ, শায়ায়েলে তিরমিযী, মিশকাত, মিরকাত ইত্যাদি হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে।
সুন্নতী কোর্তা লম্বায় নিছফুসাক্ব অর্থাৎ হাঁটু ও গিড়ার মাঝামাঝি হবে। এবং কোণাবন্ধ ও গোল হতে হবে, কোণা ফাঁড়া হতে পারবে না, কারণ কোণা ফাঁড়া সুন্নত নয়।
আস্তিন হবে কব্জি পর্যন্ত লম্বা। অবশ্য কব্জি থেকে সামান্য লম্বাও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত এবং গলায় গুট্লী বা গুণ্ডি দেয়া সুন্নত। তবে বোতাম দেয়া সুন্নত নয়।
সুন্নতী কোর্তার ক্ষেত্রে সুতি ও মিশরী কাপড় খাছ সুন্নত। অবশ্য মিশরী ব্যতীত অন্য সুতিও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত হবে। হাবীবুল্লাহ, নূরে মুজাসসাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খাছ করে সাদা রং পছন্দ করতেন।
এছাড়া খয়েরী, সবুজ, ধুসর, ঘিয়া ইত্যাদি রংও সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
গুটলিযুক্ত ক্বমীছ বা জামা
ক্বমীছ قميص অর্থ জামা, কোর্তা। কোর্তা পরিধান করা খাছ সুন্নত। আল্লাহ পাক উনার- হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারক পরিধান করেছেন।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে কোর্তা মুবারক পরিধান করতেন তা ছিল লম্বা, নিছফুস্সাক, সূতী, সাদা এবং গোল তথা কোনা বন্ধ। তা কখনো কোনা ফাঁড়া ছিলনা। যার মধ্যে কাপড় বা সূতার তৈরী গুটলী ছিল। মিশরীয় সূতী কাপড় ছিল উনার সবচেয়ে বেশী প্রিয়। অবশ্য সাদা ছাড়া রঙ্গিন কাপড়ের জামা মুবারকও তিনি পরিধান করেছেন। তবে তা কম। সাদা রংয়ের কোর্তা মুবারকই বেশি পরিধান করেছেন।”
হযরত আবূযর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্ণিত হাদিছ শরীফ খানা সেদিকে দালালত (নির্দেশ) করে তিনি বলেন-
اتيت النبى صلى الله عليه وسلم وعليه ثوب ابيض.
অর্থঃ- “একদিন আমি নূরে মুজাস্সাম,হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে গেলাম তখন তিনি সাদা কাপড় পরিহিত ছিলেন।” (বুখারী শরীফ-২/৮৬৭)
জামার গেরেবান আটকানোর গুটলি কাপড়ের তৈরি হওয়াই খাছ সুন্নত। প্লাস্টিক, স্টিল ইত্যাদি বোতাম সুন্নত নয়। গুটলিকে আরবীতে বলা হয় زر (র্যিরুন) আর তার বহুবচন হচ্ছে ازرار (আয্রারুন) ও زرور (যুরূরুন) হিন্দী ভাষায় যাকে ঘু-ী তথা গুটলী বলা হয়। (কামুছ, আল মুহীত, লিসানুল আরব, মিসবাহুল লুগাত, ফিরোজুল লুগাত, লুগাতে সাঈদী, লুগাতে হীরা, গিয়াসুল লুগাত ,আল বাইয়্যিনাত-১৪০তম সংখ্যা ৫৬ পৃষ্ঠা)
গুটলিযুক্ত ক্বমীছ বা জামা
ক্বমীছ قميص অর্থ জামা, কোর্তা। কোর্তা পরিধান করা খাছ সুন্নত। আল্লাহ পাক উনার- হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্বমীছ বা কোর্তা মুবারক পরিধান করেছেন।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে কোর্তা মুবারক পরিধান করতেন তা ছিল লম্বা, নিছফুস্সাক, সূতী, সাদা এবং গোল তথা কোনা বন্ধ। তা কখনো কোনা ফাঁড়া ছিলনা। যার মধ্যে কাপড় বা সূতার তৈরী গুটলী ছিল। মিশরীয় সূতী কাপড় ছিল উনার সবচেয়ে বেশী প্রিয়। অবশ্য সাদা ছাড়া রঙ্গিন কাপড়ের জামা মুবারকও তিনি পরিধান করেছেন। তবে তা কম। সাদা রংয়ের কোর্তা মুবারকই বেশি পরিধান করেছেন।”
হযরত আবূযর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বর্ণিত হাদিছ শরীফ খানা সেদিকে দালালত (নির্দেশ) করে তিনি বলেন-
اتيت النبى صلى الله عليه وسلم وعليه ثوب ابيض.
অর্থঃ- “একদিন আমি নূরে মুজাস্সাম,হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে গেলাম তখন তিনি সাদা কাপড় পরিহিত ছিলেন।” (বুখারী শরীফ-২/৮৬৭)
জামার গেরেবান আটকানোর গুটলি কাপড়ের তৈরি হওয়াই খাছ সুন্নত। প্লাস্টিক, স্টিল ইত্যাদি বোতাম সুন্নত নয়। গুটলিকে আরবীতে বলা হয় زر (র্যিরুন) আর তার বহুবচন হচ্ছে ازرار (আয্রারুন) ও زرور (যুরূরুন) হিন্দী ভাষায় যাকে ঘু-ী তথা গুটলী বলা হয়। (কামুছ, আল মুহীত, লিসানুল আরব, মিসবাহুল লুগাত, ফিরোজুল লুগাত, লুগাতে সাঈদী, লুগাতে হীরা, গিয়াসুল লুগাত ,আল বাইয়্যিনাত-১৪০তম সংখ্যা ৫৬ পৃষ্ঠা)
সিরকা
নিয়মিত সিরকা খেলে ওজন কমবে। তবে সাথে সাথে অন্যান্য নিয়মগুলোও মানতে হবে। |
সিরকার আরবি শব্দ خَلٌ (খল) যা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে। আর ইংরেজিতে VINEGAR (সিরকা) হিসেবে পরিচিত। সিরকা হল এক ধরণের বর্ণহীন তরল যা সাধারনত রান্নার কাজে বা খাদ্যে স্বাদ বাড়াতে ও পচনরোধে ব্যবহার করা হয়। সিরকা ইতিহাসের প্রাচীন খাবার সমূহের মধ্যে অন্যতম।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ مُـحَمَّدِ بْنِ زَاذَانَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّهُ حَدَّثَهُ قَالَ حَدَّثَتْنِي حَضْرَتْ اُمُّ سَعْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا قَالَتْ دَخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ حَضْرَتْ عَائِشَةَ الصّـِدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَاَنَا عِنْدَهَا فَقَالَ هَلْ مِنْ غَدَاءٍ قَالَتْ عِنْدَنَا خُبْزٌ وَتَـمْرٌ وَخَلٌّ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِعْمَ الاِدَامُ الْـخَلُّ اللّٰهُمَّ بَارِكْ فِي الْـخَلِّ فَإِنَّهُ كَانَ اِدَامَ الاَنْبِيَاءِ قَبْلِي وَلَـمْ يَفْتَقِرْ بَيْتٌ فِيْهِ خَلٌّ.
অর্থ: “হযরত উম্মে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক নিলেন। তখন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে আমি উপস্থিত ছিলাম। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সকালের নাস্তা আছে কি? উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমাদের নিকট রুটি, খেজুর ও সির্কা আছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ইরশাদ মুবারক করেছেন, সিরকা কতোইনা উত্তম খাদ্য, হে মহান আল্লাহ পাক! সিরকার উপর আপনার অশেষ রহমত কেননা এটি আমার পূর্ববর্তী নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও খাদ্য ছিল এবং যে ঘরে সিরকা থাকবে সে ঘর কখনো দারিদ্রতার মুখ দেখবেনা।” (ইবনে মাজাহ শরীফ: কিতাবুত ত্ব‘য়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ৩৩১৮)
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
حَضْرَتْ طَلْحَةُ بْنُ نَافِعٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَّهُ سَـمِعَ حَضْرَتْ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ يَقُوْلُ اَخَذَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِيْ ذَاتَ يَوْمٍ اِلَى مَنْزِلِهِ فَأَخْرَجَ اِلَيْهِ فِلَقًا مِنْ خُبْزٍ فَقَالَ مَا مِنْ اُدُمٍ فَقَالُوْا لَا اِلَّا شَىْءٌ مِنْ خَلٍّ قَالَ فَاِنَّ الْـخَلَّ نِعْمَ الْاُدُمُ قَالَ حَضْرَتْ جَابِرٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَمَا زِلْتُ اُحِبُّ الْـخَلَّ مُنْذُ سَـمِعْتُهَا مِنْ نَبِيِّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ طَلْحَةُ مَا زِلْتُ اُحِبُّ الْـخَلَّ مُنْذُ سَـمِعْتُهَا مِنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ.
অর্থ: “হযরত ত্বলহা ইবনে নাফি’ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত জাবির ইবনে ‘আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বলতে শুনেছেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার আমার হাত ধরে স্বীয় হুজরা শরীফ তাশরীফ মুবারক রাখলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে এক খণ্ড রুটি পেশ করা হলে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোন তরকারী কি নেই? উনারা বললেন, না। তবে অল্প কিছু সিরকা রয়েছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সিরকা তো ভাল তরকারী। হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে এ পবিত্র হাদীছ শরীফ শুনার পর আমি সিরকা পছন্দ করতে থাকি। হযরত ত্বলহা ইবনে নাফি’ রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমিও হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারর কাছে এ কথা শুনার পর হতে সিরকা পছন্দ করতে লাগলাম।” (মুসলিম শরীফ: কিতাবুশ শারাবাহ: বাবু ফাদ্বীলাতিল খ্বল্লি ওয়াত্ তায়াদ্দুমি বিহ্: হাদীছ শরীফ নং ৫২৪৮)
সিরকা পবিত্র সুন্নত হিসেবে খাবেন।
সিরকা এসিটিক এসিডের (CH3COOH) (৪-১০%) পানির মিশ্রণে তৈরি | চিনি বা ইথানলকে গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসিটিক এসিডে পরিণত করা হয়।
বিভিন্ন ফল বা সবজি থেকেও এসিটিক এসিড তৈরী হয়।
সিরকা এসিটিক এসিডের (CH3COOH) (৪-১০%) পানির মিশ্রণে তৈরি | চিনি বা ইথানলকে গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসিটিক এসিডে পরিণত করা হয়।
বিভিন্ন ফল বা সবজি থেকেও এসিটিক এসিড তৈরী হয়।
সিরকা নিয়মিত খেলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রনে থাকে।
আপেল সিডার সিরকা আপেল থেকে তৈরী হয়।
আর আমাদের সিরকা তৈরী হয় সিরকার মূল উপাদান এসিটিক এসিড মিশ্রন তৈরী করে।
সিরকার মূল উপাদান এসিটিক এসিড। এটা বিভিন্ন ভাবে তৈরী হয়। ফলমূল থেকে তৈরী হয়, মূল জৈবিক উপাদানগুলো থেকেও তৈরী হয়। যেহেতু অনেক পরিমান একসাথে তৈরী হয়, সেকারনে খরচটা তুলনামূলক কমে আসে।
খেজুর
তাজা, ক্যামিকেল মুক্ত এবং সরাসরি জাজিরাতুল আরব থেকে আমদানীকৃত।
সাওয়ীক্ব
সাওয়ীক্ব হজমে কোন সমস্যা করেনা। ফ্রাইড এবং মিহি পাউডার হওয়ার কারনে সহজে হজম হয়ে যায়।
সাওয়ীক্ব এর উপাদানগুলোর মধ্যে যে সকল শস্য ও ফল রয়েছে তা উচ্চ ফাইবার এবং ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
যা ডায়েবেটিস রোগের জন্য খুবই উপকারী।
- শারীরিক দুর্বলতা কাটায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
- দ্রুত আরোগ্য হয়
- ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ
- বিভিন্ন পরিপোষক (নিউট্রিয়েন্ট) উপাদানের সমন্বয়
- সকল বয়সের উপযোগী।
গরম দুধের সাথে দুই চামচ করে মধু বা চিনি যোগে খাওয়া যায়। অথবা দুধ না থাকলে গরম পানির সাথে ও খাওয়া যায়। |
ভূট্টা, খেজুর ডায়বেটিসের জন্য ভালো নয়, এই কথাটি শুদ্ধ নয়।
ভূট্টা ও খেজুর শক্তিশালী খাবার এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।
সাওয়ীক্ব এর মধ্যে ১৯ টির ও বেশী উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে ভূট্টা ও খেজুর যে অনুপাত রয়েছে তা ডায়বেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর নয়। যদিও উল্লেখযোগ্য পরিমান কার্বস রয়েছে তা অন্যান্য উপাদানের তুলনায় প্রাধান্য কম থাকে।
কমপক্ষে ৩ থেকে ৬ মাস খাওয়া উচিত। তবে নিয়মিত খেলে সবচেয়ে বেশী উপকার হবে।
চামড়ার দস্তরখানা
চামড়ার দস্তর খানা খয়েরী রং এর হওয়া খাছ সুন্নত।
সুন্নতী কাঠের প্লেট
সুন্নতী কাঠের পেয়ালা
সুন্নতী কাঠের লবন দানি
সুন্নতী চকি
দাম:
সিঙ্গেল সাইজ - ১৮,০০০/=
ডাবল সাইজ - ২৮,০০০/=
পরিমাপ:
একাকী ব্যবহারের জন্যে সাড়ে চার হাত লম্বা ও দুই হাত চওড়া এবং আরেকটি সাড়ে চার হাত লম্বা এবং প্রায় সাড়ে তিন হাত চওড়া।
কাঠ:
শীল কড়ই কাঠ ।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চকি মুবারক ছিল চার পায়া বিশিষ্ট এবং কাঠের তৈরী। এছাড়াও চারপায়া চকির ছাউনি মুবারক ছিল দড়ির তৈরী, যার ফলে কখনো কখনো উনার জিসিম (শরীর) মুবারকে দাগ পড়ে যেত।
সুন্নতী টুপি
আর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের টুপি মুবারক সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে,
عن ابى كبشة قال- كان كمام اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم يطحا.
অর্থ: “হযরত আবু কাবশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের টুপি ছিল গোল।” [তিরমিযী, মেশকাত, মায়ারেফুস্ সুনান, মায়ারেফে মাদানী, মেরকাত, লুময়াত, আশয়াতুল লুময়াত, শরহুত্ ত্বীবী, তা’লীকুছ ছবীহ্, মোযাহেরে হক্ব।]
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা সুস্পষ্ট ও অকাট্যভাবেই প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের টুপি মুবারক ছিল গোল। এমন গোল, যা সবদিক থেকে মাথার সাথে লেগে থাকতো। অর্থাৎ মাথা হতে উচু হয়ে থাকতো না।
আর চিশতিয়া তরীক্বার ইমাম, বিখ্যাত ও সর্বজনমান্য আলেম ও বুযুর্গ, ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্তরীক্বত, সুলতানুল হিন্দ, আ’তায়ে রসূল, খাজায়ে আজমীর, খাজায়ে বুযুর্গ, হিন্দুল ওলী, গরীবে নেওয়াজ, নায়েবে রাসূল ফিল হিন্দ, তাজুল মোক্বাররেবীন ওয়াল মোহাক্বেকীন, সাইয়্যিদুল আবেদীন, তাজুল আশেক্বীন, বোরহানুল ওয়াছিলীন, আফতাবে জাঁহা, পানাহে বে কাসা, দলীলুল আরেফীন, মাখজানুল মা’রেফত, কোদওয়াতুল আউলিয়া, সুলতানুল আরেফীন, কুতুবে দাওরান, কুতুবুল মাশায়েখুল বাররে ওয়াল বাহার, মুঈনুল মিল্লাত, ওয়ারিছুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, মোক্তাদায়ে আরবাবে দ্বীন, পেশওয়ায়ে আরবাবে ইয়াক্বীন, ছাহিবুল আসরার, মাহ্বাতুল আনওয়ার, বোরহানুল আছফিয়া, আলিমু ইলমুয যাহেরী ওয়াল বাতেনী, কোদওয়াতুছ সালেক্বীন, ওয়াক্বেফে রুমূযে ছুয়ারী ও মা’নুবী, মুঈনুল হক্ব, মুহিব্বে আউলিয়ায়ে যামান, রাহ্নুমায়ে কামেলীন, মুহিউস্ সুন্নাহ্, মাহিয়ুল বিদ্য়াত, হাবীবুল্লাহ্, শায়খ সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুঈনুদ্দীন চীশতি, সাঞ্জেরী, আজমেরী আল হাসানী, ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কোরাঈশী রহ্মাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব “আনীসুল আরওয়াহতে” বর্ণনা করেন,
“....... হযরত খাজায়ে আলম (রসুলুল্লাহ্) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রথম এই ‘কুল্লাহ্ চাহার তর্কী’ (চার টুকরা বিশিষ্ট গোল টুপি) হযরত জিব্রাঈল আলাইহি ওয়াস্ সালাম তিনি মহান আল্লাহ্ তায়ালা উনার পক্ষ থেকে প্রদান করেন এবং বলেন, ‘আপনি এটা পরিধান করুন এবং যাকে খুশী দান করে খলীফা নিযুক্ত করুন।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ টুপি পরিধান করার পর দরিদ্রতা ও উপবাসকে (রোযাকে) সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। এ টুপি যখন ইমামুল আউওয়াল মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি পরিধান করেছিলেন। তিনি তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মতো দরিদ্রতা ও রোযাব্রত পালন করতেন। এভাবেই তরীক্বার বংশ পরম্পরায় এ টুপি উনার হক্ব অর্থাৎ দাবি নিয়ে আমার নিকট পৌঁছেছে এবং আমি তোমার নিকট পৌঁছালাম, তুমিও পূর্বসুরীদের পথ অনুসরণ করবে।” অনুরুপ দলীলুল আরেফীন ও ইস্রারুল আওলিয়া নামক কিতাবেও উল্লেখ আছে।
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, চার টুকরা বিশিষ্ট গোল টুপিই হচ্ছে- খাছ সুন্নতী টুপি। এছাড়া অন্যান্য টুপি যেমন লম্বা বা কিস্তি, উঁচু বা বুরনুস ও পাঁচ কল্লি ইত্যাদি টুপি কখনোই সুন্নত ও খাছ সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত নয়। বরং কোনটা হারাম, কোনটা মাকরূহ্ তাহরিমী ও কোনটা বিদয়াত।
عن عائشة رضى الله عنها- كانت له كمة بيضاء
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার হতে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার টুপি মুবারক ছিল সাদা গোল। [আদ্ দিমিয়াত্বী, মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া লিল্ কুস্তলানী, শরহে মাওয়াহেব লিয্ যুরকানী, তাহ্ক্বীকুল মাসায়েল]
عن ابى كبشة قال- كان كمام اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم بطحا-
অর্থ: “হযরত আবূ কাব্শা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের টুপি মুবারক ছিল- গোল, যা ভালরূপে মাথার সাথে লেগে থাকতো।” ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি বলেন, এ হাদীস শরীফখানা মুন্কার। [তিরমিযী, মেশকাত, তোহ্ফাতুল আহ্ওয়াযী জিঃ-৫, পৃষ্ঠা-৫৭৯, উিনারকাতুল মাফাতীহ্ জিঃ-৮, পৃষ্ঠা-২৪৬, শরহুত্ ত্বীবী জিঃ-৮ পৃষ্ঠা-২১৫, আত্ তালীকুছ্ ছবীহ-জিঃ ৪-পৃঃ ৩৮৬, আশয়াতুল লুময়াত-জিঃ ৩-পৃঃ ৫৪৩, মোযাহেরে হক্ব-জিঃ ৩-পৃঃ ৫৩৩, উিনারআতুল মানাজীহ্ জিঃ ৬- পৃঃ১০২]
গুসলুল বাদান (বডিওয়াশ)
শুষ্ক ও তৈলাক্ত যে কোন ত্বক পরিস্কার হিসেবে উপযোগী এবং কার্যকরী।
সুন্নত মুবারক প্রচার
পবিত্র সুন্নত মুবারক সারা পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া। যে মানুষ সহজে পবিত্র সুন্নত মুবারক জানতে পারেন ও আমল করতে পারেন।