সুন্নত.ইনফো ×

কালোজিরা কেন উপকারী?

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সুন্নতী খাবার কালোজিরার তেল ব্যবহারের অনেক উপকারীতা বর্ণিত রয়েছে।
“হযরত আবূ হুরায়রাহ্‌ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মৃত্যু ছাড়া এমন কোন রোগ নেই কালোজিরায় যার আরোগ্যতা নেই।” (মুসলিম শরীফ: হাদীছ শরীফ নং ৫৬৬১)
অন্য বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।” (মুজামুল আওসাত লিত তাবরানী)
 অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত কাতাদাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত আছে, প্রতিদিন ২১টি কালোজিরার ১টি পুটলি তৈরী করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাসারন্দ্রে (নাসিকা, নাক) ব্যবহার করবে। প্রথমবার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। তৃতীয়বার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।”

কালোজিরা তেল ব্যবহারের উপকারিতা কি কি?

১.  স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে: সুন্নতী কালোজিরা মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে আধা চা চামচ কাঁচা সুন্নতী কালোজিরা অথবা ১ চা চামচ সুন্নতী কালোজিরার তেল খান।
২.  চুল পড়া রোধে: সুন্নতী কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুল পড়া রোধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ সুন্নতী কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৩.  ব্যথা কমাতে: যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে সুন্নতী কালোজিরার জুড়ি নেই। সুন্নতী কালোজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন, ব্যথা সেরে যাবে। বিশেষ করে বাতের ব্যথায় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৪.  ফোঁড়া সারাতে: ব্যথাযুক্ত ফোঁড়া সারাতে সুন্নতী কালোজিরা সাহায্য করে। তিলের তেলের সাথে সুন্নতী কালোজিরার তেল মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালে ব্যথা উপশম হয় ও ফোঁড়া সেরে যায়।
৫. মাথা ব্যথায়: কপালের দুই পাশ এবং কানে পাশে দিনে তিন-চারবার সুন্নতী কালোজিরার তেল মালিশ করুন মাথাব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।
৬.  উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সুন্নতী কালোজিরার তেল ব্যবহার করুন।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: সকালে খালিপেটে ১২/১৩ ফোঁটা সুন্নতী কালোজিরার তেল ও ১৫/১৬ ফোঁটা মধু খেলে ডায়াবেটিসের উপকার হয় ।
৮. বাতের ব্যথায়: ১০/১২ ফোঁটা সুন্নতী কালোজিরার তেল গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে বাত রোগের উপকার হয় ।

কালোজিরা তেলের আরো কিছু ব্যবহার ও কার্যকরীতা:

  • কপালের দুই পাশ এবং কানে পাশে দিনে তিন-চারবার কালোজিরার তেল মালিশ করুন মাথাব্যাথা ভালো হয়ে যাবে।
  • চুল পড়া রোধে কালোজিরা নিয়মিতভাবে খান এতে আপনার চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আর ভালো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল মালিশ করতে থাকুন।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরার তেল ব্যবহার করুন। শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি দূর করে। হৃদরোগ নিয়ন্ত্রন করে।
  • পক্ষাঘাত (প্যারালাইসীস) ও কম্পন রোগে কালোজিরার তৈল মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পাওয়া যায়।
  • জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশিতে তাড়াতাড়ি ভালো ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন।
  • সকালে খালিপেটে ১২/১৩ ফোঁটা কালোজিরার তেল ও ১৫/১৬ ফোঁটা মধু খেলে ডায়াবেটিসের উপকার হয় ।
  • ১০/১২ ফোঁটা কালোজিরার তেল গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে বাত রোগের উপকার হয় ।

আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচার কেন্দ্র থেকে কেন কালোজিরার তেল নিবেন?


কারণ আমাদের কালোজিরার তেলের রয়েছে কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য। যেমন-
১. ১০০% দেশী সরিষা (ইন্ডিয়ান সরিষা, সাদা সরিষা ইত্যাদি মিশ্রণ হয়না)
২. কালোজিরার উৎপাদন মৌসুমেই কালোজিরা সংগ্রহ করে থাকি। ফলে টাটকা কালোজিরা থেকে সর্বোচ্চ মানের তেল আমরা দিতে পারি।
৩. নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে ভাঙ্গানো হয়।
৪. সর্ব প্রকার মিশ্রণ মুক্ত। 
 

আপনার মূল্যায়ন লিখুন

Note: HTML is not translated!
    খারাপ           ভালো