পাম তেল একধরনের ভোজ্য উদ্ভিজ্জ তেল, যা পাম ফলের মধ্যবর্তী অংশ হতে পাওয়া যায়। উচ্চ বিটা-ক্যারোটিনের কারণে স্বাভাবিকভাবেই পাম তেল লালচে রংয়ের হয়। একই ফলের শাঁস(বীজ) হতে পাম শাঁসের(বীজের) তেল পাওয়া যায়।[১] আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ব্রাজিল অঞ্চলে পাম তেল রান্নায় ব্যবহৃত খুব সাধারণ একটি উপাদান। - সূত্র: উইকিপিডিয়া

পামতেলের পুষ্টিগুণ:

অন্যান্য ভোজ্যতেলের মধ্যে পুষ্টির দিক দিয়ে পাম তেল অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। পাম তেলে প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান ভিটামিন ‘ই’ এবং ক্যারোটিনয়েড এই তেলকে অনন্য পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ করেছে। পাম তেলে প্রায় ৬০০-১০০০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে। পাম তেলে বিদ্যমান ভিটামিন ‘ই’ দুই ধরণের, যথা টোকোফেরল ভিটামিন ‘ই’ ও টোকোট্রায়েনল ভিটামিন ‘ই’। এর মধ্যে টোকোফেরল-এর পরিমাণ ৩০% ও টোকোট্রায়েনল-এর পরিমাণ ৭০%। টোকোট্রায়েনল-এর জানা উৎসগুলোর মধ্যে পাম তেলই সেরা।  

পাম ভিটামিন ‘ই’ একটি শক্তিশালী জৈব এন্টি-অক্সিডেন্ট যা জারণ এবং এথোরোসক্লেরোটিক প্রক্রিয়া প্রতিহত করে। টোকোট্রায়েনলের রয়েছে ব্লাড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণকারী এবং ক্যান্সাররোধী গুণ। আবার পাম ক্যারোটিনয়েডগুলোর রয়েছে জারণরোধী ও ক্যান্সাররোধী গুণ। পাম তেলে এই দুই ভিটামিন বেশি পরিমাণ থাকায় পাম তেল কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যা মানবদেহের স্বাস্থ্যরক্ষায় উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

পাম তেল কোলেস্টেরলমুক্ত ভোজ্য তেল এবং পাম তেল ব্যবহারে রক্তের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে না। তবে ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায় এবং উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। পাম তেল রক্তের জমাট বাঁধার প্রবণতা হ্রাস করে যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। পাম তেল ধমনীতে প্লাক গঠনে সহায়তা করে না। পাম তেল ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে। পাম তেলের জারণরোধী ভূমিকার কারণে পাম তেল দেহের কোষগুলোর বয়ো-বৃদ্ধি প্রক্রিয়া প্রতিহত করে। 

মালয়েশিয়াতে প্রধান ভোজ্যতেল হিসেবে পামতেল বেশ জনপ্রিয়। 

আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র প্রাকৃতিক শোধনকৃত পামতেল সংগ্রহ করে থাকে। তাই ভালো মানের স্বাস্থ্যসম্মত পাম তেলের জন্য এখানেই অর্ডার করুন।