Inhouse product
আরবি শব্দ خَلٌ (খল) বা সিরকা হল এক ধরনের তরল পানীয়, যা খাদ্যের সাথে ব্যবহার করার শিক্ষা দিয়েছেন স্বয়ং যিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রসূল শেষ নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। তাই সিরকা খাওয়া খাছ সুন্নত বলা হয়।
“হযরত উম্মে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক নিলেন। তখন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে আমি উপস্থিত ছিলাম। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সকালের নাস্তা আছে কি?
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমাদের নিকট রুটি, খেজুর ও সির্কা আছে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ইরশাদ মুবারক করেছেন, সিরকা কতোইনা উত্তম খাদ্য, হে মহান আল্লাহ পাক! সিরকার উপর আপনার অশেষ রহমত বিদ্যমান কেননা এটি আমার পূর্ববর্তী নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও খাদ্য ছিল এবং যে ঘরে সিরকা থাকবে সে ঘর কখনো দারিদ্রতার মুখ দেখবেনা।” (ইবনে মাজাহ শরীফ: কিতাবুত ত্ব‘য়ামাহ্: হাদীছ শরীফ নং ৩৩১৮)
সুন্নতী সিরকা বা ভিনেগার হচ্ছে এসিটিক এসিডের (CH3COOH) (৪-১০%) পানির মিশ্রণে তৈরি। চিনি বা ইথানলকে গাজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসিটিক এসিডে পরিণত করা হয়। ভিনেগার বা সিরকা বিভিন্ন ফলমূল বা সবজির নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা হয়।
কেন সিরকাকে যে কোন রোগের ওষুধ বলে মনে করা হয়, আসুন জেনে নিই।
১. সিরকা খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক।
২. প্রায় সমস্ত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাবার ছিল সিরকা।
৩. গ্যাস্টিকের দ্রুত সমাধান দেয় ।
৪. সিরকা খেলে দ্রুত দেহের ওজন এবং চর্বি কমায় ।
৫. ব্রণ ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে।
৬. অতি দ্রুত খাবার ডাইজেস্ট হয় বিধায় ক্ষুধা লাগে।
৭. রুগ্নদের রুচি বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বাস্থ্যর উন্নতি সাধন করে।
৮. উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে।
৯. ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী।
১০. ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিহত করে।
১১. শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রেনে বিশেষ ভুমিকা রাখে ।
১৪. রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে সিরকা ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই।
১৫. অনিদ্রার রোগীদের জন্যেও সিরকা বেশ উপকারি।
১৬. প্রতিদিন রাতে ঘুমের আগে গরম পানির সাথে সিরকা মিশিয়ে গোসল করলে শরীর ব্যথা ও শরীরের স্নায়ুর উত্তেজনা কমে, ফলে মন শিথিল হয়।
তাই সহজেই ঘুম চলে আসে ।
১৭. সিরকা মেশানো পানিতে চুল ধুয়ে নিলে চুল খুশকি মুক্ত ও ঝরঝরে থাকে।
১৮. কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়াসহ অন্ত্রের অন্যান্য রোগের চিকিৎসা দেয়।
১৯. পেটের সকল সমস্যা দূর করতে সিরকা অনেক বেশি কার্যকারী ।
২০. যে কোন রোগের জন্য আমরা নিয়ত করে সিরকা পান করতে পারি।
২১. কোন প্রকার সাইড ইফেক্ট নেই।
বোতলের ১ কর্ক পরিমাণ সিরকা ১ গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর ভরা পেটে পান করতে হবে। প্রাথমিকভাবে দিনে ১ বার পান করবেন তারপর অভ্যস্ত হয়ে গেলে দিনে ৩ বার পান করতে পাড়বেন। (প্রেগনেন্সি অবস্থায় পান না করার ভাল