আজওয়া খেজুর (১ কেজি) (Ajwa (Arabic: عجوه))
ট্যাগ সমূহ: প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সে দিন বিষ এবং জাদুটোনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।”
৳ ১২০০
নিয়ামত ও বরকতপূর্ণ একটি সুন্নতী ফল আজওয়া খেজুর
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ নূরুল মাগফিরাহ মুবারক বা হাত মুবারকে সর্বপ্রথম আজওয়া খেজুরের চারা রোপন করেন। এজন্য এ খেজুরে রয়েছে অশেষ রহমত ও বরকত। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফে আজওয়া খেজুরের কার্যকারীতা সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে-
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সে দিন বিষ এবং জাদুটোনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামাহ: হাদীছ শরীফ নং ৫৪৪৫)
হৃদরোগে আজওয়া খেজুর: হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন- “একদা আমি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে দেখতে তাশরীফ মুবারক নিলেন। উনার সম্মানিত নূরুল মাগফিরাহ মুবারক (হাত মুবারক) উনার শীতলতা আমার অন্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত। হযরত হারিস ইবনে কালাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যিনি সাক্বিফী গোত্রের ভাই, উনার কাছে যান। কারণ তিনি একজন চিকিৎসক। তিনি যেন পবিত্র মদীনা শরীফ উনার সাতটি আজওয়া খেজুর নিয়ে বিচিসহ পিষে আপনার মুখে ঢেলে দেন।” (আবূ দাঊদ শরীফ: কিতাবুত ত্বিব: হাদীছ শরীফ নং ৩৮৭৫)
বিষের কার্যক্ষমতা কমাতে: আজওয়া খেজুর বিষের কার্যক্ষমতা কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আজওয়া সম্মানিত জান্নাতী ফল। এতে বিষের নিরাময় রয়েছে।” (তিরমিযী শরীফ: কিতাবুত ত্বিব: হাদীছ শরীফ নং ২০৬৬)
শক্তি বর্ধনে আজওয়া খেজুর: আজওয়া খেজুর শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করে। এ খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান যা শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধিসহ হজম শক্তি, নারী-পুরুষের দৈহিক শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে।
ক্যান্সার নিরাময়ে আজওয়া খেজুর: আজওয়া খেজুরে রয়েছে cyclo-oxygenase নামক উপাদান, যা মরনঘাতক ক্যান্সার নিরাময়ে অধিকতর সহায়ক।
ডায়রিয়া বন্ধে আজওয়া খেজুর: আজওয়া খেজুরে বিদ্যমান পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিংক ও অন্যান্য খনিজ লবণ ডায়রিয়া বন্ধে উপকারী। এটি শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। এ ছাড়াও খেজুরের বীজ ডায়রিয়া, আমাশয় বন্ধে কার্যকর।
আজওয়া খেজুরের আরো কিছু উপকারীতা:
১. হৃদরোগের ঝুকি কমায়, লিভার ও পাকস্থলির শক্তি বৃদ্ধি করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
২. ফুসফুসের সুরক্ষায় কাজ করে ও মুখগহব্বরের ক্যান্সারজনিত রোগ নিরাময় করে।
৩. আজওয়া খেজুরে ডায়েটরি ফাইবার আছে যা কোলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
৪. এই খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন যা হাড়, দাঁত, নখ, ত্বক, ও চুলকে ভালো রাখে।
৫. আজওয়া খেজুরে আছে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শর্করা, আমিষ, প্রোটিন, স্বাস্থ্যসম্মত ফ্যাট।
৬. এছাড়াও রয়েছে খাদ্য আঁশ, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-কে।
৭. আরোও আছে ক্যারোটিন, যা চোখের জন্য অনেক উপকারী।
৮. আজওয়া খেজুর দেহের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি দেহে শক্তি জোগায়।
৯. দিনের শুরুতে ১টি আজওয়া খেজুর খেলে আপনার সারাদিনের কর্মক্ষমতা জোগাতে সক্ষম।
বরকতময় এ সুন্নতী আজওয়া খেজুর পাওয়া যাচ্ছে আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্রে।
আমাদের আজওয়া খেজুর সরাসরি জাজিরাতুল আরব থেকে আমদানীকৃত।
ফোনে ও অনলাইনে অর্ডার নেওয়া হয়। সারা দেশে হোম ডেলিভারী দেওয়া হয়।