পরিমাণ: ৩০পিছ
ধরন: মুরগির ডিম
ডিম সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ:
عَنْ
حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَّ نَبِيًّا مِّنَ الْاَنْبِيَاءِ شَكَا اِلَى اللهِ
عَزَّ وَجَلَّ الضَّعْفَ فَاَمَرَهٗ بِاَكْلِ الْبَيْضِ
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে
উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। মহান আল্লাহ পাক উনাকে নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শারীরিক দুর্বলতা
বিষয়ে জানতে চাইলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ডিম খাওয়ার জন্য ইরশাদ মুবারক করেন।” (শুয়াবুল
ঈমান লি বায়হাক্বী ৮ম খণ্ড ৯৯ পৃষ্ঠা : বাবু আকলিল লাহম: হাদীছ শরীফ
নং ৫৫৫০)
কানুন কিতাবের লেখক ইবনে সিনা বলেন, ডিমের কুসুম রক্তের জন্য উপকারি এবং এটি নরম অবস্থায়
খেলে খুব দ্রুত হজম হয়। অন্য গবেষকরা বলেছেন, ডিমের কুসুম শারীরিক ব্যাথা দূর করে, গলা ও শ্বাসনালী পরিস্কার করে, কাশির জন্য উপকারি। ফুসফুসের
আলসার, লিভার ও প্রস্টেটের জন্য প্রতিষেধক। ডিম যখন তেল ও মিষ্টি কাজু বাদামের সাথে
ব্লেন্ড করে খাওয়া হয় তখন এটি রুক্ষতা দূর করে। এটি বুকের যে কোন সমস্যার জন্য
আরামদায়ক এবং গলার রুক্ষতাকে নমনীয় করে।
ফুলে যাওয়া চোখের ড্রপ হিসেবে ডিমের সাদা অংশ উপকারি
এবং ব্যথা উপশমকারী। এটি আগুনে পোড়া ব্যাথাও থেকেও সুস্থতা দান করে। এই সাদা অংশ
যদি মালিশ বা প্রলেপ হিসেবে মুখমন্ডলে ব্যবহার করা হয়, এটি সূর্যে পোড়া কালোদাগ দূর
করে। এবং এটি যদি কুন্দুর সাথে মিশ্রণ করে কপালে রাখা হয় তাহলে ইনফ্লুয়েন্জার (ঠান্ডা/ফ্লু) প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। ইবনে
সিনা ডিমকে হৃদপিন্ডের অসুখের প্রতিকার বা ওষুধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ডিমের
কুসুমের হৃদপিণ্ডের শক্তিবর্ধনে কার্যকরী প্রভাব আছে বলেও মন্তব্য করেন।