নিজস্ব খামারে উৎপাদিত দেশী গাভীর খাঁটি দুধ।
দুধ পান করা সুন্নত। পবিত্র
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ
اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ دَخَلْتُ مَعَ رَسُوْلِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَنَا وَخَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ
عَلَى مَيْمُونَةَ فَجَاءَتْنَا بِإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ فَشَرِبَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاَنَا عَلَى يـَمِينِهٖ وَخَالِدٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَلَى شِـمَالِهٖ
فَقَالَ لِيْ الشَّرْبَةُ لَكَ فَإِنْ شِئْتَ اٰثَرْتَ بِـهَا خَالِدًا.
فَقُلْتُ مَا كُنْتُ اُوْثِرُ عَلَى سُؤْرِكَ اَحَدًا. ثُـمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَطْعَمَهُ اللهُ الطَّعَامَ فَلْيَقُلِ
اللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَاَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ. وَمَنْ سَقَاهُ
اللهُ لَبَنًا فَلْيَقُلِ اللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ.
وَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ شَيْءٌ يَـجْزِي
مَكَانَ الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ غَيْرُ اللَّبَنِ.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি উনার উম্মুল মুমিনীন আছ ছালিছাহ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার হুজরা
শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক নিলেন, এ সময় নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুবারক ছোহবতে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ও হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা ছিলেন। উম্মুল
মুমিনীন আছ ছালিছাহ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি এক পাত্র দুধ পাঠালেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (তা হতে) পান করলেন। উনার ডান পাশে ছিলেন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এবং হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন উনার বাম পাশে।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেনঃ এখন আপনার পান করার পালা। তবে আপনি চাইলে আপনার উপর হযরত খালিদ ইবনে ওয়ালীদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, আপনার উচ্ছিষ্টে তিনি উনার উপর কোন কাউকে অগ্রাধিকার দিবেন না। তারপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে আহার করান তিনি যেন বলেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফীহি ওয়া আত্ব‘য়িমনা খ্বইরান মিনহু’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ পাক! আমাদেরকে এ খাদ্যে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে এর চাইতে উত্তম খাবার আহার করান)। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে দুধ পান করান তিনি যেন বলেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফীহি ওয়া যিদনা মিনহু’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ পাক! আমাদেরকে এ দুধে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে এর চাইতেও বেশি আমাদেরকে দান করুন)। এরপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, একই সঙ্গে পান ও আহারের জন্য যথেষ্ট হওয়ার মত দুধের বিকল্প কোন খাবার নেই।” (তিরমিযী শরীফ: কিতাবুদ দাওয়াত: বাবুন মা ইয়াক্বূলু ইজা আকাল ত্ব‘য়াম: হাদীছ শরীফ নং ২৪৫৫, ইবনে মাজাহ শরীফ: হাদীছ শরীফ নং ৩৩২২)
গরুর দুধ খাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান: এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত
রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ اَنَّ
النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ لَـمْ
يَضَعْ دَاءً اِلَّا وَضَعَ لَهُ شِفَاءً فَعَلَيْكُمْ بِأَلْبَانِ الْبَقَرِ فَاِنَّـهَا
تَرُمُّ مِنْ كُلِّ الشَّجَرِ.
অর্থ: “হযরত ত্বরিক্ব ইবনে শিহাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এমন কোন
অসুস্থতা রাখেননি যার কোন প্রতিকার বা চিকিৎসাও রাখেননি। আপনার গরুর দুধ পান করা
উচিত, কারণ তারা বিভিন্ন ধরণের তৃণলতা খেয়ে থাকে পুষ্টি লাভ
করে।” (মুসনাদে আহমাদ শরীফ ৪র্থ খণ্ড ৩১৫ পৃষ্ঠা : হাদীছ শরীফ নং ১৮৮৫১,
মিশরের ছাপা)