সুন্নত.ইনফো ×
    মিথ্যাচারিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব ৩য় খন্ড
 

মিথ্যাচারিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব ৩য় খন্ড

ট্যাগ সমূহ: ইসলামি বই

  • ৳ ১০০


কিতাব: কাযযাবগং তথা উলামায়ে সূ’দের মিথ্যাচারিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব ৩য় খন্ড

প্রকাশনী: গবেষণা কেন্দ্র: মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ 


সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন,

لن يزال طائفة من امتى منصورين على الحق لا يضر من خزلـهم

অর্থ: সর্বদাই আমার উম্মতের মধ্যে একটি দল হক্বের উপর থাকবে। বাতিলপন্থিরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। (মিশকাত শরীফ)

এ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, বাতিলপন্থিরা হক্বের বিরোধিতা করবে বা হক্বের ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করবে। তাই আমরা দেখি হক্ব ও নাহক্বের এ দ্বন্দ্ব প্রথম নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার থেকেই শুরু হয়েছে। এ বিরোধীতার ধারাবাহিকতায় শহীদ হয়েছেন ৭০ হাজার বণী ইসরাঈল নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম। অন্যান্য হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনাদের ন্যায় আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও চরম বিরোধীতা করেছিল “আবূ জাহিলের গোষ্ঠী।” উনার বিরোধীতা করতে গিয়ে নামাযরত অবস্থায় উনার উপর উটের নাড়িভুঁড়ি নিক্ষেপ করেছে, পথে কাঁটা দিয়ে রেখেছে, শিয়াবে আবূ তালিবে অবরোধ করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, মানুষ যেন সত্যটাকে গ্রহণ না করে, সে জন্যে অনবরত মিথ্যা প্রচার করেছে। আবূ জাহিলের গোষ্ঠী অপপ্রচার করতো তিনি পাগল, জিনের আছর করা রোগী, যাদুকর, ছাবী বা ধর্মত্যাগী ইত্যাদি বলে। ঐ কাট্টা কাফির চির জাহান্নামী আবূ জাহিলের গোষ্ঠী সেখানেই থেমে থাকেনি, তারা পরবর্তীতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও ইমাম মুজতাহিদ তথা আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরও চরম বিরোধীতা করেছে। মূলতঃ হক্ব ও নাহক্বের বিরোধীতা পূর্বেও ছিল এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কেননা, কিতাবে উল্লেখ আছে যে,

لكل حضرت موسى عليه السلام فرعون ولكل فرعون حضرت موسى عليه السلام

অর্থাৎ প্রত্যেক হযরত মূসা আলাইহিস সালাম বা হাদী উনাকে তাকলীফ বা কষ্ট দেয়ার জন্য একজন ফিরআউন বা বিরোধীতাকারী রয়েছে। তদ্রুপ প্রত্যেক ফিরআউন বা গোমরাহদেরকে হিদায়েতের জন্যে একজন হযরত মূসা আলাইহিস সালাম তথা হাদী রয়েছেন।”

মূলতঃ যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকের দলেরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে,

والله يشهد ان الـمنافقين لكاذبون

অর্থাৎ “আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী।” (সূরা মুনাফিকূন: আয়াত শরীফ – ১) আর মিথ্যাবাদীদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,

لعنت الله على الكاذبين

অর্থ: মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ পাক উনার লা’নত। (সূরা আলে ইমরান: আয়াত শরীফ – ৬১) অর্থাৎ মিথ্যাবাদীরা কখনোই কামিয়াব হবেনা, তাদের হালাকী বা ধ্বংস অনিবার্য। কাজেই কাযযাবগং রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে যে সকল ‘মিথ্যা প্রচার’ করছে তাও এ কিতাবের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর খড়কুটোর ন্যায় উড়ে গিয়েছে ও যাবে। ইনশাআল্লাহ। কারণ এ কিতাবে কাযযাবগংদের প্রতিটি মিথ্যাচারিতার দলীলভিত্তিক দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হয়েছে। যদ্বারা এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, রাজারবাগ শরীফ হক্ব, আর এর বিরোধিতাকারীরা বাতিল। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন,

وقل جاء الحق وزهق الباطل ان الباطل كان زهوقا

অর্থ: হে হাবীব! (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, হক্ব এসেছে বাতিল ধ্বংস হয়েছে। নিশ্চয় বাতিল ধ্বংস হওয়ারই যোগ্য। (সূরা বণী ইসরাইল: আয়াত শরীফ – ৮১)

 

আপনার মূল্যায়ন লিখুন

Note: HTML is not translated!
    খারাপ           ভালো