খাওয়ার স্যালাইন বা ওরস্যালাইন হচ্ছে ডায়রিয়া বা যে কোন পানিস্বল্পতা রোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবন রক্ষাকারী উপাদান। ওরস্যালাইন বা খাবার স্যালাইন হচ্ছে শরীরের পানিস্বল্পতা ও লবণঘাটতি পূরণ করার জন্য মুখে গ্রহনযোগ্য লবণ ও গ্লুকোজ মিশ্রিত পানি। ডায়রিয়া বা কলেরায় ঘন ঘন পাতলা পায়খানা এবং অতি গরমে ঘামের কারণে অতি অল্প সময়ে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। ফলে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ঘাটতি মানবদেহেরর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়। পানিস্বল্পতা পূরণ বা রিহাইড্রেশন এসব ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি। এসমস্থ রোগে যে স্যালাইন মুখে খেতে হয় সেটিই ওরস্যালাইন বা খাবার স্যালাইন। ১৯৮০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওরস্যালাইনকে স্বীকৃতি দেয়।
সতর্কতা:
কোনোভাবেই পানির পরিমাণ কম বেশি করা যাবে না, এক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল তো পাওয়া যাবেই না, বরং শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ষতিও হতে পারে।
কোনোভাবেই স্যালাইনে পানি ছাড়া অন্য কিছু যেমন দুধ, স্যুপ বা ফলের জ্যুস বা সফট ড্রিংকসেও মেশানো যাবে না। এমনকি চিনিও মেশানো যাবে না।
শিশুদের ক্ষেত্রে স্যালাইন কাপে করে খাওয়ানোই ভালো, কারণ ফিডিং বোতল পুরোপুরি পরিষ্কার করা ঝামেলা হয়ে যায় অনেকসময়।
গরম পানিতে স্যালাইন বানানো যাবে না। স্যালাইনের পানিও গরম করা যাবে না।
বানানোর পর ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্যালাইন ভালো থাকে। অর্থাৎ বানানোর ১২ ঘণ্টা পর আর স্যালাইন খাওয়া যাবে না, সেটি ফেলে দিতে হবে।
- তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া