নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত প্রিয় পানীয় হচ্ছে সুন্নতী খাবার নাবীয। সুন্নতী খাবার নাবীয দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। সুন্নতী খাবার নাবীয সম্পর্কিত কতিপয় পবিত্র হাদীছ শরীফ- “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য সকালে নাবীয তৈরি করতেন। যখন রাত হতো তিনি তা পান করতেন। অতঃপর তিনি রাতে নাবীয তৈরি করতেন। যখন সকাল হতো তিনি তা পান করতেন।
‘উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমি সকাল-সন্ধ্যায় নাবীয পাত্র ধুয়ে নিতাম। হযরত মুকাতিল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমার পিতা উনার খিদমতে প্রশ্ন রাখেন, দৈনিক দুইবার? তিনি জওওয়াব মুবারক দিয়ে বলেন, হ্যাঁ।” (আবূ দাঊদ শরীফ: কিতাবুশ শারাবাহ: বাবু ফী ছিফাতিন নাবীয: হাদীছ শরীফ নং ৩৭১২)
সুন্নতী খাবার নাবীযের উপকারিতা:
- হাড় ও পেশীর ব্যাথা উপশম করে
- পাকস্থলির এসিডিটি দূর করে
- হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
- শরীর থেকে বিপাকীয় বর্জ্য বের করে দেয়
- স্বরণশক্তি বৃদ্ধি করে
- মনমরা ভাব দূর করে
- লিভার, গলা, বুক, প্রোস্টেট রোগের জন্য উপকারি
- এনথ্রাইটিস ও ইউরিক এসিডের রোগিদের জন্য বিশেষ উপকারি
- আয়ুবর্ধক
- শক্তিবর্ধক
সুন্নতী খাবার নাবীয প্রস্তুত প্রণালী
উপাদান : খেজুর (৫০০ গ্রাম) , পানি
তৈরির পদ্ধতি : খেজুরের বিচি ফেলে ১০-১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর পানি থেকে খেজুর আলাদা করা হয়। খেজুরের এই পানি-ই হচ্ছে সুন্নতী খাবার নাবীয।
নাবীয চা বা খুরমা চা: খুরমা চূর্ণকে পানিতে মিশ্রিত করে পরিমানমত জ্বাল দিয়ে নবীয চা তৈরী করা হয়।
নির্দেশিকা: গরম পানিতে খুরমা চূর্ণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে পরিবেশন করুন। চিনির প্রয়োজন হবেনা। সব বয়সের মানুষ এবং রোগীরাও খেতে পারে।