সুন্নত.ইনফো ×

এক বছরের স্বচ্ছলতা, সুস্থতার সহজ উপায়

এক বছরের স্বচ্ছলতা, সুস্থতার সহজ উপায়

পবিত্র আশূরা শরীফ উনার ফযীলত সম্পর্কিত পরিবারবর্গকে ভাল খাওয়ানো ও ভালো পরানোর মাধ্যমে উক্ত ফযীলত হাছিল করা সম্ভব। এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-

عَنْ حَضَرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالىٰ عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ وَسَّعَ عَلىٰ عِيَالِه فِىْ النَّفَقَةِ يَوْمَ عَاشُوْرَاءَ وَسَّعَ اللهُ عَلَيْهِ سَائِرَا سَنَتِه.

অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করে, যে ব্যক্তি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন তার পরিবারবর্গকে ভাল খাওয়াবে-পরাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি সারা বছর তাকে স্বচ্ছলতা দান করবেন।” (তিবরানী শরীফ, শুয়াবুল ঈমান, মা-ছাবাতা-বিস্সুন্নাহ্, মুমিন কে মাহে ওয়া সাল ইত্যাদি)

এখন প্রশ্ন হলো ভালো খাওয়া ও ভালো পরার মধ্যে কোনটি উত্তম?

এককথায় বলতে গেলে উত্তর হলো, সর্বশ্রেষ্ঠ খাবার সুন্নতী খাবার, সর্বোত্তম পোশাক সুন্নতী পোশাক। সুবহানাল্লাহ!

যিনি শাহিদুন নবী, হাযির নাযীর, মুত্তালা’ আলাল গইব, মুবাশশির, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের জন্য সম্মানিত আদর্শ মুবারক। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছেন আপনাদের জন্য উত্তম আদর্শ মুবারক। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)

অর্থাৎ একজন মুসলমান তাঁর মাথার তালু থেকে পায়ের তলা, হায়াত থেকে মওত, এমনকি হায়াতের পূর্ব থেকে মওতের পর পর্যন্ত, তিনি কি খাবেন, কি পরবেন, কিভাবে চলবেন, এক কথায় উনার যাবতীয় করণীয় কর্তব্য সম্পর্কে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণ বর্ণনা মুবারক করেছেন। সুতরাং মনগড়াভাবে কোনকিছু করার সুযোগ নেই। সুতরাং যারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করবেন অর্থাৎ যারা মুসলমান হবেন, পুরুষ কিংবা মহিলা, উনারা কি খাবেন এবং কি ধরণের পোশাক পরিধান করবেন সেটাও শিখতে হবে এবং দেখতে হবে যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি পোশাক-পরিচ্ছদ মুবারক পরিধান করেছেন, প্রত্যেকটাই আমাদের জন্য আদর্শ মুবারক। তথা পায়ের তলা থেকে মাথার তালু, হায়াত থেকে ইন্তেকাল পর্যন্ত একজন মানুষ কি খাবেন, কি পরবেন, কি ব্যবহার করবেন সেসবগুলি উত্তম আদর্শ মুবারক থেকেই অনুসরন অনুকরন করতে হবে।

আশুরা শরীফ উনার দিন সুরমা দেয়ার ফযীলত সম্পর্কে হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ্, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

من اكتحل يوم عاشوراء بكحل فيه مسك لم يشك علينه الى قبيل من ذلك اليوم.

অর্থঃ- “যে ব্যক্তি আশুরার দিন মেশক মিশ্রিত (ইসমিদ) সুরমা চোখে দিবে, সেদিন হতে পরবর্তী এক বৎসর তার চোখে কোন প্রকার রোগ হবেনা।”  সুবহানাল্লাহ।


 পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি পবিত্র আশূরা শরীফ উনার দিন গোসল করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন। মৃত্যু ব্যতীত তার কোন কঠিন রোগ হবেনা এবং সে অলসতা ও দুঃখ-কষ্ট হতে নিরাপদ থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! 


, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “পবিত্র আশূরা শরীফ উনার রোযা পালনে মহান আল্লাহ পাক তিনি বিগত বছরের গুনাহখতা ক্ষমা করে দিবেন।” আর ‘তিরমিযী শরীফ’ উনার মাঝে উল্লেখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “তোমরা ৯ ও ১০ই মুহররম শরীফ রোযা রেখে ইহুদীদের খিলাফ তথা বিপরীত আমল করো।” অর্থাৎ, পবিত্র আশূরা শরীফ উপলক্ষে দুটি রোযা রাখা সুন্নত এবং গুণাহ মাফের মহান সুযোগ। তা মুহররম শরীফ উনার ৯ ও ১০ তারিখে অথবা ১০ ও ১১ তারিখে রাখতে হবে। 

  পবিত্র আশুরা শরীফ উনার উত্তম আমল হলো সুন্নতী আমল, সর্বশ্রেষ্ঠ খাবার সুন্নতী খাবার, সর্বোত্তম পোশাক সুন্নতী পোশাক। সুবহানাল্লাহ!

আর উক্ত বরকতময় সুন্নতী খাবার, সুন্নতী পোশাক, সুন্নতী আমলের সামগ্রীসমূহ পাবেন রাজারবাগ শরীফে ‘আন্তর্জাতিক মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্রে’। সুবহানাল্লাহ!